শুরুর দিকে যে দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে তদন্ত করতেই রাজি হচ্ছিল না, তারাই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনল। যদিও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে কখনও সরে যায়নি কুস্তিগিররা। এই আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে উত্তাল দেশ।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের আশ্বাসে ধর্না তুলে নেন কুস্তিগিররা। অপরপক্ষে বরাবর নিজেকে নির্দোষ বলে এসেছেন যোগী রাজ্যের দাপুটে গেরুয়া নেতা ব্রিজভূষণ। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা দিল্লি পুলিশের চার্জশিট অবশ্য অন্য কথা বলল।
আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে, সুযোগ পেলেই মহিলা কুস্তিগিরদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করত ব্রিজভূষণ। তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য প্রমাণও রয়েছে। তাজিকিস্তানে এক কুস্তি টুর্নামেন্টের সময় এক মহিলা কুস্তিগিরকে নিজের ঘরের ডেকে জড়িয়ে ধরেন। পুলিশি জেরায় ব্রিজভূষণের উত্তর ছিল, বাবার মতো আচরণ করেছিলেন। এছাড়াও অনুমতি ছাড়াই মহিলা কুস্তিগিরের শার্ট তুলে পেটে স্পর্শ করেছিলেন তিনি। এমনকী মুখ বন্ধ রাখার জন্য হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ অক্টোবর।