দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর – দিল্লিতে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে সব দিক থেকেই স্মরণীয় হয়ে থাকল। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আফ্রিকান ইউনিয়নকে পাকাপাকি সদস্যপদ দেওয়া-সব কিছু মিলিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকল এই শীর্ষ সম্মেলন। ভারতের পর আগামী বছর জি-২০ সম্মেলন আগামী বছর ব্রাজিলে হতে চলেছে। নিয়ম মেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জি-২০ প্রেসিডেন্সি তুলে দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা-কে। ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো-তে আয়োজিত হবে ২০২৪ সালের জি-২০ সম্মেলন।
আগামী বছর সম্মেলনের দায়িত্বভার পেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে শুভেচ্ছা জানান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি এদিন এবারের সম্মেলনের পর্যালোচনার জন্য নভেম্বরে দিল্লিতে একটি ভার্চুয়াল সামিট করার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের আগে গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত হয়েছিল জি-২০ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবারের জি-২০ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শেষ লগ্নে আগামী বছর কোন দেশ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে কোন দেশ সভাপতিত্ব করবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি ২০২৪-এর জি-২০সম্মেলনের ব্যাটন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেন।
জি-২০ সম্মেলনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সমাপ্তি ভাষণে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “গতকাল, আমরা ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার’ অধিবেশনে আলোচনা করেছি। আমি সন্তুষ্ট যে, আজ জি-২০ ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ সম্পর্কে আশাবাদী উদ্যোগের একটি মঞ্চ হয়ে উঠেছে।”
নয়া দিল্লিতে আয়োজিত এবারের জি-২০ সামিটে যে সিদ্ধান্তগুলি গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল, আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া। এছাড়া ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর ঘোষণা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জি-২০ দেশগুলির অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এদিন, সামিটের দ্বিতীয় দিন শান্তি প্রতিষ্ঠার উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ যৌথভাবে জানান, জি-২০ সামিটে ইউক্রেনের অবিলম্বে ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে। কোনও দেশের অঞ্চল জোর করে দখল না করার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
|