দিল্লি , ১৭ মার্চ – রাহুল গান্ধিকে নিয়ে বিতর্কের জেরে শুক্রবারও সংসদের দুই কক্ষই মুলতুবি করে দেওয়া হয়। অধিবেশন ফের বসবে সোমবার। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে একদিন সভায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হল না। শুক্রবার সভা শুরুর আঠারো মিনিটের মাথায় রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সভা মুলতুবি করে দেন। লোকসভায় একই সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার ওম বিড়লা।
দুই কক্ষেই শুক্রবার হাজিরা ছিল আশি শতাংশের বেশি, পরিবেশও ছিল উত্তপ্ত। রাহুল ছাড়াও হাজির ছিলেন সোনিয়া গান্ধি। অন্যদিকে, সরকার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া প্রথমসারির মন্ত্রীরা দুই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
রাহুল বৃহস্পতিবার লোকসভার স্পিকারের কাছে বিজেপির অভিযোগ নিয়ে সভায় বলতে দেওয়ার অনুরোধ জানান। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেছিলেন কংগ্রেস নেতাকে বলতে দেওয়া হবে। তবে রাহুল সংশয় প্রকাশ করে বলেছিলেন বিজেপি তাঁকে সংসদে বলতে দেবে না। এদিন সংসদ মুলতুবি হতেই কংগ্রেস টুইট করে বলে, মোদি সরকার সংসদ চালাতে চায় না, সেই কারণেই তারা বিরোধীদের বলতে দিতে রাজি নয়।
শুক্রবার অধিবেশন শুরু হতেই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলমাল শুরু হয়ে যায়। বিজেপি তাদের আগের দাবিতে সরব হয়। শাসক দলের সাংসদদের বক্তব্য, রাহুলকে তাঁর লন্ডনের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাইলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করা হোক। রাহুল লন্ডন সফরে বলেছিলেন, মোদির শাসনকালে ভারতে গণতন্ত্র নেই। সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না।
অন্যদিকে, সোনিয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেস দাবি করে, আদানি ইস্যুতে সংসদের যৌথ তদন্ত কমিটি গড়তে হবে। রাজ্যসভায় ধনখড়, লোকসভায় ওম বিড়লা গোলমাল থামানোর আর্জি জানিয়ে বলেন, সবাইকে বলতে দেওয়া হবে। আগে গোলমাল থামাতে হবে। হট্টগোলের মধ্যে সভা চলতে পারে না। গোলমাল না থামায় রাজ্যসভা সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়। একই সিদ্ধান্ত নেন লোকসভার স্পিকার।