লন্ডন, ১০ জুন– এবার এমপি পদ থেকেও ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন বরিস জনসন। আগেই গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ। ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’র জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলে খবর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’র এক তদন্ত রিপোর্টের জেরেই শুক্রবার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন বরিস জনসন। তাঁর দাবি, বহু দলীয় প্রিভিলেজেস কমিটির রিপোর্টের জেরেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই তদন্তে তাঁকে অন্যায়ভাবে এমপি পদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বরিস বলেন, “আমি খুব অবাক হলাম এটা দেখে যে ওরা (প্রিভিলেজেস কমিটি) আমাকে পার্লামেন্ট থেকে বের করে দিতে চায়। তাই আমি পদত্যাগ করছি। আক্সব্রিজ ও সাউথ রুইসলিপ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা আমি জানিয়ে দিয়েছি।” শুক্রবার প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত রিপোর্টের একটি অনুলিপি হাতে পান বরিস। সেদিন সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এমন একটিও প্রমাণ দিতে পারেনি যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে হাউস অফ কমনসকে (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) বিভ্রান্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর আগে গত মার্চে বরিস তদন্ত কমিটির কাছে এটা স্বীকার করেছিলেন যে, করোনাবিধি উপেক্ষা করে বন্ধুদের নিয়ে পানাহারের আয়োজন করার বিষয়ে তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তবে তিনি এও বলেছিলেন যে, তা ইচ্ছাকৃতভাবে নয়।
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দীর্ঘ দু’বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীনই খাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।