বেঙ্গালুরুর ১৫টি স্কুলে বোমাতঙ্ক,  চাঞ্চল্য শহর জুড়ে 

বেঙ্গালুরু, ১ ডিসেম্বর – একের পর এক স্কুলে বোমাতঙ্ক। সকালবেলা স্কুলে গিয়েই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে। বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন স্কুলে হুমকি ই-মেলের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ১৫টি স্কুল। বাড়ি ফিরে যেতে হয় পড়ুয়াদের। বোমাতঙ্কের কারণে স্কুলগুলি দ্রুত খালি করে দেয় পুলিশ। স্কুলগুলিতে পৌঁছে যায় বোম্ব স্কোয়াড।  এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যেও। স্কুল চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁরাও। ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয় শহরজুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।যদিও এই ঘটনাকে ‘গুরুতর’ বলে উল্লেখ করেছেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানান , যে বা যারা এই হুমকি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার সকালে স্কুল খোলার পরপরই বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন প্রান্তের ১৫টি বেসরকারি স্কুলে ই-মেল পৌঁছায়। ওই ই-মেলগুলিতে দাবি করা হয়, সবকটি স্কুলে বোমা রাখা আছে। যে কোনও সময় স্কুলগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ওই ই-মেল পাওয়ার পর স্কুলগুলিতে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকেরাও। তাঁরা দ্রুত ছেলেমেয়েদের ফিরিয়ে আনতে স্কুলেগুলিতে ছুটে যান। গোটা শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেঙ্গালুরুর নামজাদা বেশ কিছু স্কুল, যেমন, বিদ্যা শিল্পা, ন্যাশনাল, এনপিএস এর তালিকায় রয়েছে।  

হুমকি ই-মেল প্রথমে পৌঁছয় রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের বাড়ির সামনের স্কুলে । তারপরই একে একে শহরের বিভিন্ন জায়গার আরও ১৪টি স্কুলে এই ধরনের ই- মেল পৌঁছনোর খুব ছড়িয়ে পড়ে । সবকটি স্কুলেই তল্লাশি চালানো হয়।  তবে শেষ পাওয়া পুলিশ সূত্রের খবরে কোনও স্কুলে কোনও বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক কোনও বস্তু পাওয়া যায়নি। বেঙ্গালুরু পুলিশের তরফে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় । তবে কোথা থেকে কে বা কারা এই ধরনের হুমকি দিয়েছে তা প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়নি । বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বাহিনীকে নিয়ে পুলিশ স্কুল চত্বরে চিরুনি তল্লাশি চালায় । 
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্কুলগুলি মূলত বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড, কোরেমঙ্গলা, সদাশিবনগর এলাকায় অবস্থিত। প্রসঙ্গত, গত বছরও বেঙ্গালুরুর সাতটি স্কুলে বোমা রাখা আছে বলে ফোন এসেছিল পুলিশের কাছে। পরে অবশ্য দেখা যায় অসৎ উদ্দেশ্যে ভুয়ো ফোন করেছিল কেউ। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের।