• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দিল্লিতে গুজরাট জয় উদযাপন বিজেপির, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে মোদির রোড শো

দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি–  রাজধানীতে জয় উৎযাপনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোড-শো। বর্ণাঢ্য রোড-শো করে প্রধানমন্ত্রী বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেন। প্রথমে হায়দরাবাদে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা রাজধানীতে করার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, চার দিন আগেই কর্নাটকের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সেরাজ্যের হুবলিতে রোড-শো করেছিলেন মোদি। যেখানে নিরাপত্তা বলয় ভাঙে মোদির কাছে

দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি–  রাজধানীতে জয় উৎযাপনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রোড-শো। বর্ণাঢ্য রোড-শো করে প্রধানমন্ত্রী বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেন। প্রথমে হায়দরাবাদে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা রাজধানীতে করার সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, চার দিন আগেই কর্নাটকের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে সেরাজ্যের হুবলিতে রোড-শো করেছিলেন মোদি। যেখানে নিরাপত্তা বলয় ভাঙে মোদির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল এক কিশোর। যদিও মোদির এই রোড শোকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ বিকল্প বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। তাদের কোথায় রাহুলের সাফল্য দেখে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই মোদির রোড শো। 

তবে কংগ্রেস বা বিজেপির যাই বলুক এই রোড শো-এর ফলে প্রাণ ওষ্ঠাগত দিল্লিবাসীর। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদির রোড শোর কারণে সোমবার কাজের দিনে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অশোক রোড, সংসদ মার্গ, টলস্টয় রোড, জয়সিংহ রোড, রফি মার্গ, যন্তর মন্তর রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। এর ফলে আশপাশের এলাকা ও রাস্তাতেও যানজট তৈরি হতে পারে। গেরুয়া নেতাদের দাবি, গুজরাটে বিপুল আসনে জয়ের জন্য সকলেই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে উৎসুক। সেই কারণেই এই রোড শোয়ের আয়োজন। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ অবশ্য অন্যকথা বলছেন। তাঁর কটাক্ষ, ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্য দেখে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। সেই কারণেই পালটা রোড শো।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সংগঠনের কাজে লাগানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে কয়েকজন নতুন মুখ মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন। বাংলায় এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আগে থাকলেও এখন আর নেই। কারণ, বর্তমানে তিনি খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। সাধারণভাবে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানদের মন্ত্রী করা হয় না। তবে দিলীপ ঘোষের কপালে শিকে ছিঁড়তে পারে। লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ১৫ মাস বাকি। তার আগে এই বৈঠক অত‌্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।