ভদোদরা, ৮ ডিসেম্বর– ভোট প্রাকল্লেই ঘটেছিল গুজরাতের মোরবি সেতু বিপর্যয়। সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ১৪০ জনের। সেই মৃত্যুতে ধোঁয়াশায় ছিল বিজেপি। সেতুর সঙ্গে ভেঙে না পড়ে ভোট ব্যাংকও। ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতি, টেন্ডার প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল গুজরাতের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। গুজরাতের নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ভেবেছিলেন এর প্রতিক্রিয়া ভোট বাক্সে দেখাবে গুজরাতের মানুষ। কিন্তু সেই অশনি সংকেত যে গোটাটাই ভুল তা প্রমাণিত হল ভোট পেরোতেই। বিপর্যয়ের এক মাসের মধ্যে হওয়া ভোটে সেতুর কোনো ছায়াই পড়ল না বিজেপির জনপ্রিয়তায়। এদিন মোরবিতেও ফেলল না সেতু ভেঙে গণমৃত্যুর ঘটনা
শুধু গুজরাতেই ঐতিহাসিক ফল করেনি গেরুয়া শিবির। সেইসঙ্গে মোরবিতেও পরপর ছ’বার জিতলেন বিজেপির কান্তিভাই অম্রুত্য। তাও ৬২ হাজারের বেশি ভোটে।
এই কান্টিভাইকে নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনার সময়। বলা হয়েছিল, কাজ শেষ হওয়ার আগেই মোরবি সেতু মানুষের জন্য খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে কান্তিভাই।
সেইসময়ে অনেকেই দাবি করেছিলেন, এই বিপর্যয়ে মোরবি তো বটেই আশপাশের এলাকাতেও ভোটে প্রভাব পড়বে। কিন্তু সেসব যে ভ্রান্ত অনুমান ছিল তাও স্পষ্ট হয়ে গেল ভোটের ফলে।
তবে যদি ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় তবে কলকাতার পোস্টে উড়ালপুল ও এই মোরবি সেতু বিপর্যয়ের সম্পর্ক এক। কারণ ২০১৬ সালে বাংলায় ভোটের আগে কলকাতায় পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেইসময়ে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু ভোটে তার প্রভাব পড়েনি। জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে সেবারও জিতেছিলেন তৃণমূলের স্মিতা বক্সী।।