• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মোদি শিবিরের এবারের স্লোগান ‘আব কি বার, চারশো পার।’, লক্ষ্য নেহরু, রাজীবের রেকর্ড ভেঙে জয়

দিল্লি, ১৩ মার্চ– ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিজেপি একাই ৩০৩ আসনে জয়ী হয়। এছাড়াও এনডিএ শরিক দলগুলি জয়লাভ করে আরও গোটা পঞ্চাশ আসনে। সেই উদাহরণ টপকে এবার আগামী লোকসভা নির্বাচনে চারশোর বেশি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে বিজেপি। যদিও ২০১৯ এর বিজেপি জোটসঙ্গী শরিকদের তিন প্রধান দল শিবসেনা, অকালি দল এবং জনতা দল ইউনাইটেড এখন এনডিএ তথা বিজেপির

দিল্লি, ১৩ মার্চ– ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিজেপি একাই ৩০৩ আসনে জয়ী হয়। এছাড়াও এনডিএ শরিক দলগুলি জয়লাভ করে আরও গোটা পঞ্চাশ আসনে। সেই উদাহরণ টপকে এবার আগামী লোকসভা নির্বাচনে চারশোর বেশি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে বিজেপি। যদিও ২০১৯ এর বিজেপি জোটসঙ্গী শরিকদের তিন প্রধান দল শিবসেনা, অকালি দল এবং জনতা দল ইউনাইটেড এখন এনডিএ তথা বিজেপির সঙ্গে নেই।

দেশের শাসক দল মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাজকর্ম এবং বিরোধী শিবিরের ছত্রভঙ্গ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই জয় অসম্ভব নয়। দল সেই মতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তারপরও গেরুয়া শিবির ‘২৪-এর ভোটের প্রধান স্লোগান তৈরি করেছে, ‘আব কি বার, চারশো পার।’

বিজেপির লক্ষ্য, অন্তত ৪০৫ আসন। তাতে রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে গড়া কংগ্রেসের রেকর্ড ভেঙে জয় হাসিল সম্ভব হবে। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর হওয়া লোকসভার ভোটে রাজীব গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেস ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪০৪ আসনে জয়ী হয়েছিল। সেটাই এখনও পর্যন্ত লোকসভায় সেরা রেজাল্টের রেকর্ড হয়ে আছে।

এছাড়া মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড স্পর্শ করবেন। মোদির নেতৃত্বে বিজেপি আগামী লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হাতে থাকা দুটি রেকর্ড স্পর্শ করতে মরিয়া। তা সম্ভব হলে ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’-এর স্বপ্নও ষোলআনা পূর্ণ হবে মনে করছে দল।

দল তথা মোদীর স্বপ্ন পূরণে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবার অভিনব কৌশল নিয়েছে। মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা এবার ভোট প্রস্তুতির মূল দায়িত্ব সঁপেছেন তিনজন সাধারণ সম্পাদককে। সুনীল বনসল, বিনোদ থাওড়ে এবং তরুণ চুঘ, এই তিন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে গত সপ্তাহে বিজেপি একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স তৈরি করেছে। ওই টাস্কফোর্সের কাছে সমস্ত রাজ্য ইউনিটকে ২৪ এর ভোট নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শ জানাতে হবে আগামী একমাসের মধ্যে। টাস্কফোর্স সমস্ত পরামর্শ, পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে দেড় মাসের মাথায় নাড্ডা, অমিত শাহদের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে।

তবে টাস্ক ফোর্সের কাজ তাতেই শেষ হয়ে যাবে না। বিজেপি ঠিক করেছে, লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই তিন সাধারণ সম্পাদকের টাস্ক ফোর্সকে দিয়েই নির্বাচনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনার বাস্তবায়িত করবে।