দিল্লি, ১২ জুন– পরপর দু’টি রাজ্যের ভোটে বিপর্যয় এবং পরবর্তীতে সঙ্ঘ পরিবারের রিপোর্ট ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের। যা নিয়ে শীর্ষনেতৃত্বরা অস্তিত্বের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একের পর এক রাজ্যে বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে তড়িঘড়ি দলের শীর্ষনেতৃত্ব দফায় দফায় বৈঠক শুরু করে। যেসব রাজ্যে দল ক্ষমতায় নেই সেখানে সংগঠনের খুটিনাটি খবর দিল্লির সদর দপ্তরে পৌঁছে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা। তারপরেই রাজ্য ধরে ধরে ভোটযুদ্ধের কৌশল ঠিক করা হবে।
দলের এই ত্রয়ী ছাড়াও কেন্দ্রের হেভিওয়েট মন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদকদের রাজ্যের সংগঠন দেখভাল করার দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য ধরে ধরে আলোচনা হয়। গুরুত্ব দেওয়া হয় বিরোধীদের হাতে থাকা রাজ্যগুলির সংগঠনে। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি রাজ্যের সংগঠন দেখভাল করবেন একজন করে হেভিওয়েট মন্ত্রী ও সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্ব। লোক দেখানো দায়িত্ব পালন করলে হবে না।
লোকসভা ভোটের প্রচার এখন থেকেই শুরু করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রচারের ঝাঁঝ বাড়াতে ধাপে ধাপে প্রতিটি রাজ্যে যাবেন নরেন্দ্র মোদি ।
প্রতিনিয়ত রাজ্যে গিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব। প্রয়োজনে রাজ্যস্তরের শাখা সংগঠনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তাঁরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বের রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী রণকৌশল ঠিক করবে। যেমন বাংলার পর্যবেক্ষক ও সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাল করছেন সুনীল বনশল ও অমিত মালব্যরা। তবে দিল্লি থেকে বাংলার সংগঠন দেখভাল করবেন অমিত শাহ নিজেই, এমনটাই সূত্রের খবর।
আবার দেবভূমির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন জে পি নাড্ডা । দলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সোমবার নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে তিনদিনের সফরে জে পি নাড্ডা।