মুম্বই, ৭ ডিসেম্বর– সীমানা নিয়ে তরজা তুঙ্গে। মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের মধ্যে চলা সীমানা বিরোধ ঘিরে অশান্তি তীব্র হচ্ছে । বেলাগাভি এলাকায় পরিস্থিতি রীতিমতো অশান্ত। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। কিন্তু তাতেও দুই রাজ্যের সীমানা বরাবর বহু জায়গায় পরিস্থিতি অশান্ত।
এরই মধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার অখণ্ড মহারাষ্ট্রের ডাক দিয়ে বেলাগাভি পর্যন্ত লং মার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছে শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠী। দলের নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, আমাদের দলও পাওয়ার সাহেবের সঙ্গী হবে।
প্রসঙ্গত, বেলাগাভিতে একটি চেক পোস্টে গতকাল মহারাষ্ট্রের নম্বর দেওয়া গাড়ির উপর হামলা চালায় কর্নাটকের বাসিন্দারা। এখন দুই রাজ্যই দাবি তুলেছে, বেলাগাভ তাদের অংশ। গতকাল কর্নাটকের মন্ত্রীরা বেলাগাভ অভিযানের ডাক দিয়েও শেষ পিছিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী নিষেধ করায়। কিন্তু কন্নড়ভাষী জনতার সঙ্গে পুলিশের গোলমালে কয়েকজন আহত হয়। সেই ঘটনা নিয়ে আবার কর্নাটকে বিরোধী দলগুলি বিজেপি সরকারকে চেপে ধরেছে।
এদিকে, শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা সঞ্জয় রাউত একটু আগে দাবি তোলেন, বেলাগাভকে আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীনে রাখা হোক। বিরোধ মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চালুক।
রাজ্যে ক্ষমতাসীন শিবসেনা (একনাথ গোষ্ঠী)-বিজেপি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে মহারাষ্ট্রেও বিরোধীরা সরব হয়েছে। তারা বলছে, দুই রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতায়। তারপরও কিছু গ্রামের দখল চেয়ে যেভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা অকল্পনীয়। পাওয়ারের বেলাগাভ অভিযানের ঘোষণায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। প্রবীণ নেতা অনুগামীদের মারফৎ ঘোষণা করেছেন, গোলমাল না থামলে তিনি বেলাগাভ পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন।