• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

১১ ধর্ষকের মুক্তির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো

দিল্লি, ৩০ নভেম্বর– ফের লড়াইয়ের ময়দানে বিলকিস বানো।প্রথমে গণধর্ষণকারীদের শাস্তির লড়াই এবার তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন ২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে ধর্ষিতা বিলকিস বানো। প্রসঙ্গত, সেই সময় অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ওই ১১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পায়। কিন্তু ১৯৯২ সালের সাজা মকুব করার নিয়মের আওতায় ধর্ষকদের মুক্তি

দিল্লি, ৩০ নভেম্বর– ফের লড়াইয়ের ময়দানে বিলকিস বানো।প্রথমে গণধর্ষণকারীদের শাস্তির লড়াই এবার তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন ২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে ধর্ষিতা বিলকিস বানো। প্রসঙ্গত, সেই সময় অন্ত্বসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অভিযোগে ওই ১১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পায়। কিন্তু ১৯৯২ সালের সাজা মকুব করার নিয়মের আওতায় ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। 

মুক্তি পাওয়া ১১ ধর্ষকের বিরুদ্ধে  মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আরেকবার বিবেচনা করে দেখুক শীর্ষ আদালত, আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিলকিস বানো । শীর্ষ আদালতের কাছে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। তার আগের দিনই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন বিলকিস। 

চলতি বছরের মে মাসের সেই সিদ্ধান্তের জেরেই আগস্ট মাসে ১১ জন ধর্ষকদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে আবেদন করেছেন বিলকিস। প্রসঙ্গত, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য একাধিক আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও এই আবেদন জানিয়েছিলেন।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলার শুনানির আবেদন করেছেন বিলকিসের আইনজীবী। চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলছে। একই বেঞ্চে এক সঙ্গে দু’টি মামলার শুনানি করা যায় কিনা, সেই বিষয়টি ভেবে দেখবেন তিনি।  

গুজরাট সরকারের নির্দেশে ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার পরেই দেশজুড়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, ধর্ষকদের কার্যত বীরের সম্মান দিয়ে বরণ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে।