• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

সুপ্রিম নির্দেশে জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট পেশে কোনও বাধা রইল না বিহার সরকারের

দিল্লি, ৬ অক্টোবর –  বিহারে জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট পেশের ক্ষেত্রে আরও কোনও বাধা রইল না নীতীশ সরকারের। এই রিপোর্ট পেশের উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয় একাধিক জনস্বার্থ মামলা। আবেদনকারীদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতে। সরকারি সিদ্ধান্তের উপর আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেনা বলে পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে।  তাই বিহার সরকার জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট

দিল্লি, ৬ অক্টোবর –  বিহারে জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট পেশের ক্ষেত্রে আরও কোনও বাধা রইল না নীতীশ সরকারের। এই রিপোর্ট পেশের উপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয় একাধিক জনস্বার্থ মামলা। আবেদনকারীদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতে। সরকারি সিদ্ধান্তের উপর আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেনা বলে পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে।  তাই বিহার সরকার জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করতেই পারে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিহার সরকারকে নোটিসও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ফের বিহারের জাতিগত জনগণনা নিয়ে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, বিহারের এই জনগণনাকে দেশ ভাগের চেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশে অনুমতি দিয়েছিল পাটনা হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, আপাতত বিহারের জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশে স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। কারণ রাজ্য সরকারের কার্যকলাপে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সেখানেও বাধা দেওয়া যায় না।

সম্প্রতি জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিহার সরকার। সমীক্ষার বৈধতা নিয়ে পাটনা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। যদিও সেই মামলা খারিজ করে সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশকে বৈধতা দিয়েছিল হাইকোর্ট।

রিপোর্টটি সংবিধান বহির্ভুত বলে পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছিল। শুক্রবার বিচারপতি বিচারপতি সঞ্জয় খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর সরকারি সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পর্যবেক্ষণে দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশের উপর এই মুহুর্তে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে একটি জনসভায় বিহার সরকারের জাতিগত জনগণনার কড়া নিন্দা করে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতিগত জনগণনা দেশ ভাগের চেষ্টা বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বিজেপির তরফেও এর কড়া সমালোচনা করা হয়। যদিও বিরোধীরা নীতীশের এই সিদ্ধান্তে স্বাগত জানায়। তবে জাতিগত জনগণনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে তাদের সেই আপত্তি  টিকল না।

তবে শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এই গণনার তথ্য সম্পর্কে কোনও আবেদন জমা পড়লে তা বিচার করা  যেতে পারে। বিহার সরকারকে নোটিসও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এই গণনা সংক্রান্ত তথ্যের রিপোর্ট  বিহার সরকারকে জমা দিতে হবে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের আগেই ফের আইনি আলোচনা শুরু হবে বিহারের জাতিগত জনগণনা নিয়ে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিহারের জাতিগত জনগণনার ফলাফল। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত ১৯ শতাংশ। এই গণনাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল। তবে বিজেপির তরফে বারবার এই গণনার বিরোধিতা করা হয়েছে।