• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

নিউ ইয়র্ক থেকে মুম্বই বড় শহরগুলির তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও সমুদ্রের জলস্তর নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভয়ঙ্কর বিপদের আশঙ্কা

দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি– পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি যে কতটা ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি। জলবায়ু বদলের ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে সন্ত্রস্ত পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। মানব সভ্যতার জন্য অপেক্ষা করছে মহাপ্রলয়ের মতো বিপর্যয়। রাষ্ট্রসংঘ নিয়োজিত ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি)-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন ছিল শুধুই বিপদের আগাম পূর্বাভাস। এবার সরাসরি তার ফল ভুগতে শুরু করেছে পৃথিবী। পাহাড়প্রমাণ

দিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি– পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি যে কতটা ক্ষতিকর তা আমরা সবাই জানি। জলবায়ু বদলের ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে সন্ত্রস্ত পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। মানব সভ্যতার জন্য অপেক্ষা করছে মহাপ্রলয়ের মতো বিপর্যয়। রাষ্ট্রসংঘ নিয়োজিত ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি)-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন ছিল শুধুই বিপদের আগাম পূর্বাভাস। এবার সরাসরি তার ফল ভুগতে শুরু করেছে পৃথিবী। পাহাড়প্রমাণ হিমশৈল ভাঙছে মেরুপ্রদেশে। ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সমুদ্র উপকূলবর্তী বড় শহরগুলির তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আন্টার্কটিকা ও গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার হার আরও বাড়ছে । আরও উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০-এর মধ্যে এই তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। পৃথিবীর তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি বেড়ে গেলে কী কী হতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মেরুপ্রদেশে আরও দ্রুত গলবে বরফ।  দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতা বাড়লে তার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বেই। পাহাড়প্রমাণ হিমশৈল তথা বরফের চাঁই গলে সমুদ্রের জলে মিশবে। আয়তন বাড়বে জলভাগের। ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে বাস্তুতন্ত্র।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কায়রো, লাগোস, মাপুটো, ঢাকা, জাকার্তা, মুম্বই, সাংঘাই, কোপেনহেগেন, লন্ডন, লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক, সান্তিয়াগো এইসব শহরগুলোও বিপদের মুখে। গত অক্টোবরে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই প্যানেলের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে বড় জোর ২০৩০ পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে। তার পরে ৩৬টি দেশ থেকে একশো জনেরও বেশি বিজ্ঞানীকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। গত কয়েক মাসে দু’টি রিপোর্ট পেশ করেছেন তাঁরা।

পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমান হারেই যদি কার্বন গ্যাস নির্গমন চলতে থাকে, তা হলে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর তিন ফুটেরও বেশি বেড়ে যাবে। ফলে উপকূলবর্তী এলাকায়, যেখানে আগে একশো বছরে এক বার বন্যা হত, সেখানে প্রতি বছরেই বন্যা হবে। ধ্বংস হয়ে যাবে বহু শহর।