দিল্লি, ১২ সেপ্টেম্বর – দূষণে ভারাক্রান্ত রাজধানীর বাতাস। তাই আরও বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দিল্লিবাসীকে রক্ষা করতে দীপাবলির আগেই বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করল দিল্লি প্রশাসন। এই নিয়ে সোমবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এখন থেকেই বাজি তৈরী, সংরক্ষণ, ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশকেও আতশবাজি তৈরী, বিক্রি, ও সরবরাহের জন্য অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আতশবাজি পোড়ালে ভয়ঙ্করভাবে বায়ুদূষণ হয় তাই ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনালের নিয়মবিধি মেনে দিল্লিতে বাজি, তৈরী, সংরক্ষণ, ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, “অক্টোবর এবং নভেম্বরে রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই পরিস্থিতি ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী একটি অ্যাকশন প্ল্যানও তৈরী করছেন, যা ১ অক্টোবর প্রকাশ্যে আনা হবে।” মন্ত্রী আরও জানান, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ ব্যবহারে ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, ‘গ্রিন ক্র্যাকার’-এর আড়ালে সমস্ত রকম বাজি বিক্রি হচ্ছে। ফলে দূষণ আরও বেড়ে যায়। তাই এ বার ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে বিশ্বের সবথেকে দূষিত শহর দিল্লি। এই ভয়ঙ্কর দূষণের জেরে প্রায় ১২ বছর আয়ু কমে যেতে পারে দিল্লিবাসীর। এই হারে দূষণ বাড়তে থাকলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ তো বটেই, জীবন থেকে বেশ কয়েকটা বছর হারিয়ে ফেলবেন রাজধানীর বাসিন্দারা।