• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাঙালির মাছে-ভাতে ক্ষুদা বেড়েছে দিগুন, জানাল সমীক্ষা

দিল্লি, ২ নভেম্বর– কথায় আছে ‘বাঙালি যেথায় যায় মাছ-ভাত খুজে বেড়ায়’৷ এবার এই প্রবাদবাক্যেই যেন শিলমোহর দিল এনসিআর৷ আর্থিক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ (এনসিএইআর)-এর সমীক্ষা বলছে, গোটা দেশেই এই প্রবাদ সত্য৷ দশ বছরে দেশের মানুষের মাছ খাওয়ার পরিমাণ দ্বিগুণ বেডে়ছে৷ এখন একজন ব্যক্তি বছরে ১৩ কেজিরও বেশি মাছ খাচ্ছেন৷ ২০১১-১২তে সরকারি

দিল্লি, ২ নভেম্বর– কথায় আছে ‘বাঙালি যেথায় যায় মাছ-ভাত খুজে বেড়ায়’৷ এবার এই প্রবাদবাক্যেই যেন শিলমোহর দিল এনসিআর৷ আর্থিক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ (এনসিএইআর)-এর সমীক্ষা বলছে, গোটা দেশেই এই প্রবাদ সত্য৷ দশ বছরে দেশের মানুষের মাছ খাওয়ার পরিমাণ দ্বিগুণ বেডে়ছে৷ এখন একজন ব্যক্তি বছরে ১৩ কেজিরও বেশি মাছ খাচ্ছেন৷ ২০১১-১২তে সরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, বছরে মাথাপিছু মাছ খাওয়ার পরিমাণ মাত্র ৭ কেজি৷ ২০২২-২৩-এ এনসিএইআর-এর সমীক্ষায় তা বেডে় ১৩ কেজির উপরে চলে গিয়েছে৷ সমীক্ষায় ৫৬ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে, বাজারে নানা রকম মাছ মিললে মাছ খাওয়ার পরিমাণ বেডে় যায়৷
কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস্য দফতর ২০২২-এর রিপোর্টে জানিয়েছিল, এ দেশে সবথেকে বেশি মাছ খান লক্ষদ্বীপের মানুষ৷ বছরে মাথাপিছু ১২৫ কেজি৷ রাজ্যগুলির মধ্যে গোয়ার মানুষ সবথেকে বেশি মাছ খান৷ বছরে মাথাপিছু ৭৮ কেজি৷ ত্রিপুরা, ওডি়শার মানুষও মাছ খাওয়ায় পিছিয়ে থাকেন না৷ ওই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ছিল না৷ তবে তার আগে ২০১৪-র রিপোর্ট জানিয়েছিল, মাছ খাওয়ার প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ লক্ষদ্বীপ, কেরল, গোয়ার পরেই চতুর্থ স্থানে রয়েছেন৷
সমীক্ষায় ২৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে তাঁদের মাছ খাওয়ার পরিমাণ বেডে়ছে৷ বাডি়তে মাছ রান্না করার চল এবং মাছের মধ্যে দিয়ে আহারের পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করার তাগিদই এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে এনসিএইআর-এর গবেষকরা বলছেন, গত দশ বছরে মাছ খাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও আন্তর্জাতিক মাপকাঠির তুলনায় ভারতে মাছ খাওয়ার পরিমাণ এখনও কমই৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা এফএও (ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন) এবং ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)-এর অনুমান অনুযায়ী, বিশ্বে বছরে মাথাপিছু ২০.৫ কেজি মাছ খাওয়া হয়৷
২০৩১-এ তা ২১.৪ কেজিতে চলে যাবে৷ আর্থিক বৃদ্ধি, মানুষের আয় বাড়লে মৎস্য ভক্ষণের পরিমাণও বাড়বে৷ এনসিএইআর-এর তিন গবেষক সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মী জোশী ও নিজরা ডেকা লক্ষ করেছেন, বড়লোক বা ধনীদের একটা অংশ মাছের রক্ত, আঁশ, জল পেরিয়ে মাছের বাজারে যেতে পছন্দ করেন না৷ উচ্চ আয়সম্পন্ন গোষ্ঠীর ৫৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, ওই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য তাঁরা মাছের বাজার এডি়য়ে চলেন৷
মধ্যবিত্তদের একাংশ আবার মাছ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি অবহিত নন৷ নিম্নবিত্ত মানুষের অনেকে কেনার ক্ষমতা নেই বলে মাছ কম খাচ্ছেন৷ উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, হরিয়ানার মতো উত্তর ভারতের মতো রাজ্যে আবার মাছ খাওয়ার পরিমাণ এমনিতেই খুব কম৷