অ্যানিমিয়া-কোষ্ঠকাঠিন্যে কলার থোড়ের গুনাগুন।

কলায় এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায় যা অন্য কোনো ফলে পাওয়া যায় না। কলা সবচেয়ে এনার্জি প্রদানকারী ফল। কলায় পাওয়া যায় ভিটামিন, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি সুস্থ শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন, তবে আপনার ডায়েটে কলা রাখুন, এটি আপনাকে আশ্চর্যজনক উপকার দেবে।  কিন্তু কলার কাণ্ড বা থোড়ও যে সমান উপকারী তা  অনেকেই জানেন না। কলা অনেকেরই প্রিয় ফল। কলায় এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায় যা অন্য কোনো ফলে পাওয়া যায় না। কিন্তু এবার জেনে নিন থোড়ের উপকারিতা। কলা গাছের কাণ্ডের মজ্জাকেই থোড় বলা হয়। থোড় খেতেও যেমন উপাদেয় তেমনই তা পুষ্টিগুণে ভরপুর। থোড়ে রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি।
১)ওজন কমাতে সহায়ক-
থোড়ে  পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে, যার কারণে খাওয়ার পর অনেকক্ষণ খিদে পায় না। আপনি চাইলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এমন জাঙ্ক ফুডের পরিবর্তে স্ন্যাক্স হিসেবে নিতে পারেন এই থোড়। এটি খেলে পেট ভরা থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে স্মুদি বানিয়ে বা সিদ্ধ করে নিতে পারেন।
২)পুষ্টিগুণে ভরপুর-
থোড় পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম এবং বি৬। ভিটামিন বি৬ হিমোগ্লোবিন এবং ইনসুলিন গঠনে উপকারী। এর পাশাপাশি এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহয়তা করে। এর কান্ডে পাওয়া পটাসিয়াম কার্ডিয়াক পেশীকে শক্তিশালী করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩)টক্সিন দূর করতে সহায়ক-
শরীরে উপস্থিত টক্সিনকে শরীর থেকে বার করতে থোড় খুব উপকারি। এছাড়া এটি প্রাকৃতিকভাবে কিডনির পাথর অপসারণেও কার্যকর। ডায়েটে থোড়  অন্তর্ভুক্ত করেন তবে এটি হজম প্রক্রিয়াকেও সক্রিয় এবং ভাল রাখে। এর সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না।
৪)কলার কাণ্ডে প্রচুর ফাইবার থাকে-
কলার কাণ্ডে প্রচুর ফাইবার থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।  এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, কান্ডে পাওয়া পটাশিয়াম কার্ডিয়াক পেশীকে শক্তিশালী করে। এর পাশাপাশি এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৫)হজম প্রক্রিয়া সচল থাকে-
থোড় খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না।এছাড়াও এটি কিডনি থেকে প্রাকৃতিকভাবে পাথর দূর করতেও সহায়ক। এর সাহায্যে শরীরে উপস্থিত টক্সিনও শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
৬)উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে-
এটি ভিটামিন বি৬ এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। যা শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে থোড় খেতে পারেন।
৭)কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম-
আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের সমস্যায় অস্থির থাকেন, তাহলে অবশ্যই থোড় খেতে হবে। থোড়ের রস আপনার শরীরে অ্যাসিডিক মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। এর পাশাপাশি এর সেবনে পেটের জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তিতেও আরাম পাওয়া যায়।
৮)অ্যানিমিয়ায় উপকারিতা-
থোড় খেলে আপনি রক্তস্বল্পতার সমস্যায়ও অনেক উপশম পাবেন। এটি আয়রন সমৃদ্ধ, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতার লক্ষণ কমাতে পারে।