রায়পুর, ১৭ নভেম্বর– শুক্রবার ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোট৷ এই ভোটে সবার চোখ শিবরাজ সিংহ চৌহান বনাম কমল নাথের ভাগ্যের ফয়সালার ওপর৷ দুই যুযুধানের দ্বন্দ্বের ফয়সালা করতে শুক্রবার রায় দিচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের ভোটদাতারা৷ তবে এই লড়াই শুরুর আগেই দূর্বল কেন্দ্রগুলি বলছে, পদ্ম থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে হাত শিবির৷
ভোটপণ্ডিতদের একাংশ ২০০৮, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে যুযুধান দুই দলের সাফল্যের নিরিখে মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রকে চার ভাগে ভাগ করেছেন৷ ‘নিরাপদ’, ‘তুলনামূলক নিরাপদ’, ‘তুলনামূলক দুর্বল’ এবং ‘দুর্বল’৷ গত তিনটি নির্বাচনেই উপর্যুপরি কোনও আসনে জিতলে সংশ্লিষ্ট দলের কাছে সেটি ‘নিরাপদ’৷ তিনটি নির্বাচনের মধ্যে দু’টিতে জেতার ইতিহাস থাকলে ‘তুলনামূলক নিরাপদ’৷ তিন বারের মধ্যে এক বার জয় পেলে ‘তুলনামূলক দুর্বল’ এবং ২০০৮, ২০১৩, ২০১৮-র তিনটি বিধানসভা ভোটেই হারার নজির থাকলে ‘দুর্বল’৷ নির্বাচনী সাফল্যের মাপকাঠির সেই হিসাব বলছে, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ‘নিরাপদ আসনে’র সংখ্যা ৫৮টি৷ কংগ্রেসের মাত্র ১০টি৷ ২১টি আসন বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’পক্ষেরই ‘তুলনামূলক নিরাপদ’ আসনের সংখ্যা ২১টি করে৷ অন্যদিকে, বিজেপির ‘তুলনামূলক দুর্বল’ আসন ৭টি হলেও কংগ্রেসের ক্ষেত্রে তা ৪১৷ আর গত তিনটি নির্বাচনে হারা ‘দুর্বল’ আসনের সংখ্যা বিজেপির ক্ষেত্রে ১১, কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ৭৫! তবে নির্বাচনী পাটিগণিতে পরিসংখ্যানের ধারাবাহিকতা মেলে না অনেক সময়ই৷ আগামী ৩ ডিসেম্বর ভোটগণনার পরে ‘নিরাপদ-দুর্বল’ অঙ্ক বদলে যেতে পারে বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মত৷