‘ সজাগ থাকুন, নারী পাচারে ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী বন্ধুরা ‘ অভিভাবকদের উদ্দেশে পরামর্শ পুলিশের 

sexually harashment

কলকাতা, ৯ অগাস্ট – নারী পাচারে ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী বন্ধুরা। তাই কিশোরী ছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছে পুলিশের আবেদন সন্তানদের  বন্ধুদের উপর নজর রাখার। মঙ্গলবার ৫০টি স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে  ‘চেতনা’ শিরোনামে সেমিনারের আয়োজন করে কলকাতা পুলিশ। সেখানে বেশ কিছু কিশোরী ও তরুণীদের পাচারের ঘটনা তুলে ধরা হয়। ওই সেমিনারে উপস্থিত কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা জানান, সমীক্ষায় দেখা যায় , নারী পাচারকারীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই পাচার হওয়া কিশোরী বা তরুণীর পরিচিত। তার মধ্যে ৪৪ শতাংশই ‘বন্ধু’র রূপ ধরা শত্রু। বাকি ২৮ শতাংশ প্রতিবেশী, ১৭ শতাংশ পরিবারের লোক, ৬ শতাংশ পাচারকারী আসে প্রেমিকের ছদ্মবেশে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।

পুলিশের তরফে অভিভাবকদের উদ্দেশে পরামর্শ , এই পাচার রুখতে যেন তাঁরা বাড়ির কন্যা সন্তানের উপর সারাক্ষণ নজর রাখেন। তারা যে সব বন্ধুর সঙ্গে মিশছে তারা কেমন ও তাদের আসল পরিচয় কি তা জানার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে তারা কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশলে, লুকিয়ে অতিরিক্ত সময়ের জন‌্য মোবাইল ফোনে কথা বললে বা চ‌্যাট করলে, ঘরের দরজা বেশিক্ষণের জন‌্য বন্ধ করে রাখলে তাদের গতিবিধির উপর যেন অভিভাবকরা নজর রাখেন। তাদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলে তারা কী চায়, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। সাধারণভাবে পাচারকারীদের দলে থাকে চারজন। তাদের মধ্যে পরিচিত ও আসল পাচারকারী ছাড়াও মাঝখানে দুই দালালের উপস্থিতি থাকে। কোনওরকম সন্দেহ হলে যেন অভিভাবকরা নিকটবর্তী থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, এমনই পরামর্শ পুলিশের ।