শুধুমাত্র মুম্বই এবং দিল্লি ম্যাচগুলিতে বাজি প্রদর্শনী থেকে পিছিয়ে এল বিসিসিআই!

ভারত:- বিশ্বকাপের ম্যাচ শেষে দেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে দেখা যাচ্ছে আতশবাজির প্রদর্শনী। ওয়াংখেড়ে হোক বা ফিরোজ শাহ কোটলা বা লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে বাজির রোশনাই দেখার মতো। কিন্তু বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলি থেকে বাজি প্রদর্শনী থেকে পিছিয়ে এল বিসিসিআই। সূত্রের খবর, তবে সব ভেন্যু থেকে নয়, শুধুমাত্র মুম্বই এবং দিল্লি থেকেই। শীত এখনও পুরোপুরি আসেনি। এরইমধ্যে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে মুম্বই এবং দিল্লিতে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে মুম্বই হাইকোর্টের পক্ষ থেকে একটি সুয়ো মোটো জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ সচেতনতার জন্যই দিল্লি এবং মুম্বই শহরে কোনও ম্যাচেই আর আতশবাজির প্রর্দশনী হবে না। বৃহস্পতিবার মুম্বইতে ভারত খেলতে ‌নামছে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। আগামী সোমবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় বাংলাদেশ খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এই দুটি ম্যাচের শেষে কোনও রকম আতশবাজি প্রদর্শন হবে না। সূত্রের খবর, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত কারণে মুম্বই এবং দিল্লির বাকি ম্যাচ গুলোতে কোনও রকম আতশবাজির প্রদর্শন হবে না। একইসঙ্গে বোর্ড সচিব উল্লেখ করেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সব সময়ই পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে সচেতন। এরসঙ্গে সমর্থকদের স্বার্থ জড়িয়ে থাকে। বিসিসিআই অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করছে দিল্লি এবং মুম্বই শহরের বায়ুদূষণ নিয়ে। সূত্রের খবর, জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুসারে মুম্বইয়ের বান্দ্রা অঞ্চলে দূষণের মাত্রা নির্ধারিত সূচকের থেকে ২৬০ বেশি ছিল। অন্যদিকে শীত শুরু হওয়ার আগেই দিল্লির অবস্থাও উদ্বেগজনক। ভারতের বড় শহরগুলিতে অতিরিক্ত দূষণের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। দিল্লিতে প্রতি বছরই শীত পড়ার সময় দূষণ বেড়ে যায়। গত বছর ভারতের একটি টেস্ট ম্যাচের সময় দূষণ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ক্রিকেটারদেরও মাস্ক পরে থাকতে হয়েছিল। এই বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া এখনও পর্যন্ত ছ’টি ম্যাচের ছ’টিতেই জিতেছে। দল যেমন ফর্মে রয়েছে, তেমনই ব্যাট হাতে রান পাচ্ছেন রোহিত। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হিটম্যানের ৮৭ রানের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন প্রাক্তনীরা।