মুম্বই, ২৮ নভেম্বর– দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি যে ঋণ প্রদান করেছে তা দেওয়া হয়েছে কোনও গ্যারান্টার ছাড়াই৷ এগুলি মূলত ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোন৷ অর্থাৎ দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির বাজারে ছডি়য়ে থাকা ১৩.৩২ লক্ষ কোটি টাকার মোট ঋণের সাত শতাংশই অসুরক্ষিত ঋণ৷ যার পরিমাণ ৯৩,২৪০ কোটি টাকা৷ এমনটাই জানাচ্ছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন৷
অথচ এই ব্যাঙ্কগুলিই আবার দাবি করছে যে নন-ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স সংস্থা এবং ডিজিটাল ঋণ পরিষেবা অ্যাপ পরিচালনাকারী ফিনটেক সংস্থাগুলির অসুরক্ষিত ঋণের পরিমাণ চড়চড় করে বাড়ছে৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে তারাই অসুরক্ষিত ঋণের পর্বত চূড়ায় বসে রয়েছে৷ যা ব্যাঙ্কগুলির ঋণ আদায়ে চাপ বাডি়য়েছে৷
ব্যাঙ্কের ভাষায় এই গ্যারান্টার ছাড়া দেওয়া ঋণগুলিকে স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট বলা হয়৷ এর তিনটি ভাগ রয়েছে– এসএমএ-০, এসএমএ-১ এবং এসএমএ-২৷ ২০২৩-এর ৩১ মার্চের হিসাবে সরকারি ব্যাঙ্কে এসএমএ মোট ঋণের ৯.৯ শতাংশ, যেখানে বেসরকারি ব্যাঙ্কে চার শতাংশ৷ কেয়ার রেটিং-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে এসএমএ-০, এসএমএ-১ এবং এসএমএ-২ ক্যাটেগরিতে অসুরক্ষিত ঋণের পরিমাণ মোট ঋণের ৭ শতাংশ৷