দিল্লি, ৬ মার্চ – আযোধ্যা জমি বিতর্কে মধ্যস্থতা নিয়ে রায় স্থগিত রাখল সর্বোচ্চ আদালত। মধ্যস্থতার বিরোধিতা করেছিল হিন্দু সংগঠনগুলি। মুসলিম সংগঠনগুলি মধ্যস্থতার পক্ষে সায় দিয়েছিল। এর আগে আযোধ্যা মামলা নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল মার্চের ৬ তারিখে এই নিয়ে একটি নির্দেশ দেওয়া হবে। সেখানে জানানো হবে, মধ্যস্থতার বিষয়ে শীর্ষ আদালত থাকবে কিনা। জাস্টিস বোবড়ে বাদি-বিবাদী দুই পক্ষের মতামত শুনে শীর্ষ আদালতের মধ্যস্থতার বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ দেন। সেই মতোই আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এগোয় এই মামলা। ২০১০-এর ৩০ অক্টোবর এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি তিন ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। তিন ভাগ ছিল, নির্মোহী আখাড়া, উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং রাম লালা। গত ছয় দশক ধরে পড়ে রয়েছে ভারতের সব থেকে বড় রাজনৈতিক এই মামলা। শাসক বিজেপির সদস্য, বেশ কিছু সহযোগী দল এবং দক্ষিণপন্থী একাধিক সংগঠন অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচনের আগেই রামমন্দির তৈরির কাজ শুরুর দাবি করেছিলেন। গত বছরেই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার তাড়াতাড়ি শুনানির দাবি খারিজ করে দেয়। পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ৬ সপ্তাহের জন্য রায় পিছিয়ে দেয়। আবেদনকারীরা যাতে অনুবাদ ও অন্যান্য নথি তৈরি করতে পারে, সেজন্যই বিচারপতিদের এই সিদ্ধান্ত। কবে শুনানি শুরু হবে তার দিনক্ষণ বুধবারই জানানর কথা ছিল। কিন্তু দু’পক্ষের মধ্যে তথ্য চূড়ান্ত করা নিয়ে বিবাদে তা পিছিয়ে গেল। এর আগে ২৯ জানুয়ারি কেন্দ্র রাজজন্মভূমির ৬৭ একর জমি তাঁদের হাতে দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে।