ভারত:- আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতকে চূর্ণ করে ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ খেতাব জিতল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে শতরান হাঁকালেন ট্রাভিস হেড। ঠাণ্ডা মস্তিষ্কে চাপ সামলে খেললেন স্মরণীয় ও দায়িত্বশীল ইনিংস। ট্রাভিস হেড একাই হারিয়ে দিলেন ওডিআই দল ভারতকে। সূত্রের খবর, ২০০৩ ও ২০০৭ সালে টানা ১১টি করে ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় ভারতকে। ৫০ ওভারে ওঠে ২৪০ রান। তবুও সপ্তম ওভারে ৪৭ রানে অজিরা তৃতীয় উইকেট হারানোয় নড়েচড়ে বসেছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাঠে ছিলেন শুরু থেকেই। পরে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের সামনেই হারল ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে এমন দুজন জেতালেন যাঁদের একজন বিশ্বকাপের প্রথম ঘোষিত দলে ছিলেন না। পরিবর্ত হিসেবে দলে আসেন। অপরজন ফিটনেসজনিত কারণে প্রথমদিকে খেলতেই পারেননি। ডেভিড ওয়ার্নার ৭, মিচেল মার্শ ১৫, স্টিভ স্মিথ ৪ রান করে আউট হন। ১ বলে ২ রানে অপরাজিত থাকেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। জসপ্রীত বুমরাহ ২টি মেডেন-সহ ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মহম্মদ শামি ৭ ওভার করেছেন, ১ মেডেন, ৪৭ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মহম্মদ সিরাজ ৭ ওভারে ৪৫ রান দেন, পেয়েছেন একটি উইতেট। রবীন্দ্র জাদেজা ১০ ওভারে ৪৩ ও কুলদীপ যাদব ১০ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে উইকেট পাননি। এদিন, টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জানা গিয়েছে, লোকেশ রাহুলের ৬৬, বিরাট কোহলির ৫৪ ও রোহিত শর্মার ৪৭ রান সত্ত্বেও ভারত ২৪০-এর বেশি তুলতে পারেননি। মিচেল স্টার্ক তিনটি, জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পার।