ইম্ফল, ২৯ সেপ্টেম্বর – মণিপুরে এবার ক্ষুব্ধ জনতার হামলার লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়ি। বৃহস্পতিবার রাতে ইম্ফলে বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বিক্ষোভকারী জনতার দল। পরিস্থিতি সামলাতে শূন্যে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামলাতে নিরাপত্তাবাহিনী নামলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
ইম্ফলে যে বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী যেন এন বীরেন সিং থাকেন, সেই বাড়িতে নিরাপত্তার অভাব নেই। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার চেষ্টার ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায়। পরে এক্স হ্যান্ডলে মণিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাড়িতে হামলার কোনও চেষ্টা হয়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘‘ইম্ফলের হেইনগাং এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়েছিল। বিভিন্ন দিক থেকে দু’টি দল বাড়ির দিকে এগোচ্ছিল। বাড়ি থেকে ১০০-১৫০ মিটার দূরত্বে জনতাকে আটকে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।’’ ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে কেউ থাকেন না। তবুও বাড়ি সর্বক্ষণ নজরে রাখা হয়।
জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় র্যাফ এবং রাজ্য পুলিশ। গোটা এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বাড়ির সামনে ব্যারিকেড নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়। বাড়ির সামনের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।
কুকি এবং মেইতেইদের সংঘর্ষ ঘিরে গত ৩ মে থেকে উত্তপ্ত মণিপুর। সম্প্রতি সে রাজ্যের দুই পড়ুয়াকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ছবিতে আততায়ীদের সঙ্গে বসে রয়েছে দুই পড়ুয়া। অন্য একটি ছবিতে তাদের মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করা যায়নি। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরে। বুধবার সকালে ইম্ফলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পড়ুয়ারা। মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা।
মণিপুরে দুই পড়ুয়ার হত্যাকাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাসেও পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি।
