জিন্দ, ৪ নভেম্বর – সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপালের হাতে হেনস্থার শিকার কমপক্ষে ৫০ জন ছাত্রী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। আর তার প্রায় দেড়মাস পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ৩০ অক্টোবরের পর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি পদক্ষেপ করা হয়েছে। হরিয়ানা মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশি গাফিলতির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রিন্সিপালকে আটক করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
অভিযোগ , হরিয়ানার জিন্দ-এর সরকারি স্কুলটির ৫৫ বছর বয়সী ওই শিক্ষক স্কুলে নানা অজুহাতে নিজের অফিস ঘরে ডাকতেন এবং ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করতেন। নানাভাবে ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করা হত । এছাড়া বেশ কিছু ছাত্রীকে তিনি ফোন ও অশালীন মেসেজও পাঠাতেন। ব্যক্তিগত ফোন ছাড়াও তাঁর কাছে মোট তিনটি মোবাইল ফোন ছিল, যেগুলি ব্যবহার করে ছাত্রীদের হেনস্থা করতেন তিনি। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ জন ছাত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনে।
মহিলা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকজন ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই গত ১৪ সেপ্টেম্বর পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পরে কয়েকজন ছাত্রী প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও জাতীয় মহিলা কমিশনেও চিঠি লিখে অভিযোগ জানায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। গত ২৭ অক্টোবর সরকারের তরফে ওই প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়। ৩০ অক্টোবর তাঁকে আটক করে পুলিশ।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু ভাটিয়া বলেন, “ওই স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৬০ জন ছাত্রী অভিযোগ জানিয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জন ছাত্রী শিক্ষকের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে। বাকি ১০ জন ছাত্রী বয়ান দিয়েছে যে তারা প্রিন্সিপালের এইসব কার্যকলাপ সম্পর্কে জানত।”
এই ঘটনায় গুরুতর আরও একটি বিষয় হল, তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ তুলেছেন কমিশনের সদস্যরা। কারণ অভিযুক্ত ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে ৩০ অক্টোবর। জিন্দ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করার একদিন পর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে হরিয়ানা পুলিশ।
হরিয়ানার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেণু ভাটিয়া আরও বলেন, “ অভিযোগ করা সকলেই নাবালিকা। অন্যদিকে এই ঘটনায় প্রিন্সিপালকে সমর্থন করার অভিযোগ উঠেছে আরও এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।