তেহরান, ৩ নভেম্বর – ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ইরানের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৩২ জন। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৬ জন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ইরানের জিলান প্রদেশের ল্যাঙ্গারাড শহরে। ঠিক কী কারণে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জিলানের গভর্নর মহম্মদ জালাই জানান, ল্যাঙ্গারাড শহরে এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। এছাড়া ১৬ জন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তার মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঠিক কী কারণে নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গিলানি প্রদেশের প্রধান বিচারপতি। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে সেন্টার ম্যানেজার-সহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর , লাঙ্গারাড শহরের নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে ৪০ জন থাকার জায়গা নেই। কিন্তু, ৪০ জনের বেশি সংখ্যক মাদকাসক্তকে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে ২৭ জনের মৃত্যু হলেও শুক্রবার সকালে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেশামুক্তি কেন্দ্রটিতে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল বাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রটিতে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। বাড়িটির ছাদ, দেওয়াল ও জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বলে রাখা ভালো, চলতি বছরের আগস্ট মাসেই ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি বাজারে আগুন লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক দোকান।
প্রসঙ্গত, মাদকের নেশা ও অপরাধের নিরিখে বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে ইরান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুসারে, ইরানের মধ্য দিয়েই আফগানিস্তান থেকে পশ্চিম ইউরোপে আফিম ও হেরোইন পাচার হয়। স্বাভাবিকভাবে মাদকের নেশা ছাড়াতে নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে যথেষ্ট ভিড় থাকে।