চন্দ্রকোণা, ২ জুলাই – নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা । তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে জখম অন্ততপক্ষে ১০ জন । এঁদের মধ্যে ৫ জন চন্দ্রকোণা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। একায় এখনও পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে চন্দ্রকোণা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
ভাঙড়ের পর ফের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার কৃষ্ণপুর এলাকায় । সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে। তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার সকালে তাদের পঞ্চায়েত প্রার্থীর প্রচারে কৃষ্ণপুর এলাকায় যান কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। সেই সময় তাদের প্রচারে বাধা দিতে হুমকি দেয় আইএসএফ। হুমকি উপেক্ষা করেও প্রচার করা শুরু করলে তাদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে আইএসএফ এবং সিপিএম কর্মীরা তেড়ে আসে । আহত এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘আমরা পতাকা নিয়ে প্রচার করছিলাম। তখন ওরা এসে বলে প্রচার বন্ধ করতে। আমরা না শোনায় আইএসএফ এবং সিপিএমের লোকেরা লাঠি নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়, মারধর করে।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাকেশ সরকার বলেন, “আমরা প্রচারে বেরিয়েছিলাম। আইএসএফ ও সিপিএম তখন আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তোলে।” বিনা কারণে তৃণমূলের উপর আইএসএফ চড়াও হয় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, আইএসএফকে উসকে দেয় সিপিএম।
যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছে আইএসএফ এবং সিপিএম। আইএসএফের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাদের কর্মীদের উদ্দেশে কটু কথা বলেন, অসম্মানজনক মন্তব্য করেন। তার প্রতিবাদ করতেই তৃণমূল তাদের আক্রমণ করে।
রবিবার চন্দ্রকোণায় এই ঘটনায় একে অপরের ওপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়, ছোঁড়া হয় ইট-পাটকেলও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন দোকান মালিকরা। দুই পক্ষের এই সংঘর্ষে জখম হন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন কর্মী। এঁদের মধ্যে পাঁচ জন চন্দ্রকোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পোঁছয়। এই ঘটনায় এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলছে।