নীলকণ্ঠ মহাদেব খুঁজতে এবার জামা মসজিদ খুঁড়বে এএসআই 

লখনউ, ৮ মে–  জ্ঞানবাপীর পর  জামা মসজিদ। উত্তরপ্রদেশের একাধিক মসজিদ নিয়ে আগেই অভিযোগ সেগুলি নাকি মন্দির ধ্বংস করে নির্মিত হয়েছে। কোথাও কোথাও মসজিদের পাতালে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি। সেসবের সত্যতা যাচাই করতে জ্ঞানবাপীর মতো বেশ কয়েকটি মসজিদে চলছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের খননকাজ, সমীক্ষা। এবার আরও একটি জায়গায় তা শুরু হতে চলেছে। তা হল জামা মসজিদ। 

উত্তরপ্রদেশের জামা মসজিদ নিয়ে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার অভিযোগ ওই জায়গায় ছিল নীলকন্ঠ মহাদেবের মন্দির। তা ভেঙে মসজিদের রূপ দেওয়া হয়েছে। এখন তার পরিচিতি জামা মসজিদ হিসেবে। এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে এএসআই-কে দিয়ে সমীক্ষা করানোর আবেদন ছিল হিন্দু মহাসভার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সমীক্ষায় রাজি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। বাদাউন আদালতে আবেদনপত্রও জমা দিয়েছে তারা। 

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার তরফে রাজ্য সভাপতি মুকেশ প্যাটেল বাদাউনের দায়রা আদালতে একটি আবেদন জানান। যার মূল বিষয়বস্তু, জামা মসজিদ আসলে মন্দিরের বিনির্মাণ। নীলকন্ঠ মহাদেবের মন্দির ধ্বংস করে তার উপর মসজিদটি গড়ে উঠেছে। এএসআইকে দিয়ে তার সমীক্ষা করাতে হবে। তিন পক্ষকে পার্টি করে মামলা শুরু হয়। এএসআই, রাজ্য সরকার এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় এএসআইয়ের মত জানতে চেয়েছিল আদালত।

তারা জানায়, জামা মসজিদে পুরাতাত্বিক সমীক্ষা করতে রাজি এএসআই। তাদের তরফে আদালতে এই মর্মে আবেদনপত্র পেশ করে সময় চাওয়া হয়েছে। মামলাকারী হিন্দু মহাসভার তরফে আইনজীবী বেদপ্রকাশ সাউ জানিয়েছেন, এএসআই কে ১৫ দিন সময় দিয়েছে আদালত। তার মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ মে।