৯ মে — মুক্তির পর থেকেই নানান বিতর্কে মধ্যে জড়িয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি।রাজ্যসকার এই ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সোমবার নবান্ন থেকে ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণার পেছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এই রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করা হল। এই সিনেমায় যে সব দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ছবিটি নিষিদ্ধ করা হল।রাজ্যে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। বিশিষ্টরাও সকলে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন। তবে কিছু কিছু ব্যক্তিত্ব আবার মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।
কিন্তু রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেক নেতাকে রাজ্য সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা ‘বিষয়টি প্রশাসনিক’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে মমতা তথা তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত শিল্পী শুভাপ্রসন্ন সরাসরি বিরোধিতারই পথ নিয়েছেন। কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেনও শুভাপ্রসন্নের মন্তব্য, ‘‘এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক সুবিধা দেবে না। বরং নিষিদ্ধ করে ছবিটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হল।’’ একই রকম কথা বলছেন নাট্যব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় থেকে সুমন মুখোপাধ্যায়েরা। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ালেও এ ক্ষেত্রে একেবারে উল্টো মেরুতে অবস্থান করছেন তাঁরা। তবে মমতার সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছেন কবি সুবোধ সরকার এবং অভিনেতা কৌশিক সেন।
রাজ্য সরকারের তরফে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই ওই সিদ্ধান্তকে ‘জেহাদিদের কাছে আত্মসমর্পণ’ বলে মন্তব্য করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য নেতারা ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। আগেই এই ছবিটির প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তৃণমূলের ঘরের বিশিষ্টেরাও ওই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করতে পারছেন না। শুভাপ্রসন্নের কথায় ‘‘আমি কোনও শিল্পপ্রচেষ্টার বিরোধিতা পছন্দ করি না। এ ক্ষেত্রেও আমি সমর্থন করতে পারছি না। এর ফলে ছবিটা বেশি প্রচার পেয়ে গেল! ভাল বা মন্দ বিচার করার দায়িত্ব মানুষের উপরেই ছাড়া উচিত। সেন্সর বোর্ড যখন ছাড় দিয়েছে, তখন প্রদর্শনে বাধা কোথায়? এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না জানি না। তবে থাকলেও কোনও সুবিধা মিলবে না বলেই আমার ধারণা।’’