দিল্লি, ১৭ জুলাই– চিনের রক্তচাপ বাড়ালো তেজস। তেজস কিনতে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনা। আর তাতেই মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে ড্রাগনের। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বীপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন আর্জেন্টিনার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ তায়ানা। দিল্লি সূত্রে খবর সেখানে তেজসের বিক্রি সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ভারতকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দেন। সেই লক্ষে আন্তর্জাতিক অস্ত্রের বাজারে ছাপ ফেলার প্রস্তুতিও শুরু করে দেন তিনি। মোদির সেই আত্মনির্ভর প্রকল্পে ইতিমধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ ও ব্রহ্মস মিসাইল কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। এই প্রেক্ষাপটে রাজনাথ সিং ও জর্জ তায়ানার দ্বীপাক্ষিক বৈঠকে সবার নজর রয়েছে।
২০২২ সালেই ভারতের তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে আর্জেন্টিনা। গত জুন মাসেই আর্জেন্টিনার বায়ুসেনা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জেভিয়ার আইজ্যাকের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয় লাতিন আমেরিকার দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীনেশ ভাটিয়ার। ওই বৈঠকে তেজসের পাশাপাশি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড বা হ্যালের তৈরি হেলিকপ্টার নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন আর্জেন্টিনার বায়ুসেনা প্রধান।
বিশ্লেষকদের মতে, উন্নয়নের নামে ঋণের পসরা সাজিয়ে বসেছে চিন । ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা-সহ এশিয়ার দেশগুলিকে ঋণের জাল বিস্তার করেছে লাল ফৌজ । পরবর্তী লক্ষ নেপাল। তবে নেপাল যদি কলম্বোকে দেখে তাহলে হয়তো ফাঁদে পড়বে না।
এবার লাতিন আমেরিকার দিকে হাত বাড়াচ্ছে চিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে শামিল হয়েছে ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনা। চিনা ঋণ নিয়ে চাপে পড়েছে ভেনেজুয়েলাও। ব্রাজিলের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসনারো বলেছিলেন, “চিন ব্রাজিল থেকে পণ্য কিনছে না, বরং ব্রাজিলকেই কিনে নিচ্ছে।” ফলে, জল যে মাথা ছাড়িয়েছে তা স্পষ্ট।