আসানসোল : ৩ মার্চ, ২০২৩ — তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আর্জি মঞ্জুর হল না দিল্লি হাই কোর্টে। তাঁর আইনজীবী রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাইলেও শুক্রবার তা মঞ্জুর করেননি বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মা। এরপর মামলাটি কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন অনুব্রতর আইনজীবী। তিনি জানান, এই মামলায় আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করবেন। তাই তিনি না আসা পর্যন্ত মামলাটির শুনানি স্থগিত রাখা হোক। এই আবেদন আদালত মেনে নেয়। বিকেলে মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে বাধা রইল না ইডির।
এদিকে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ মার্চ ধার্য হয়। আদালত সূত্রে খবর, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জো়ড় চলছে। বিভিন্ন নথিতে সই করানোর জন্য তাঁকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো হয়। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো নিয়ে শুক্রবারই কলকাতা এবং দিল্লি হাই কোর্টে অনুব্রতের মামলার শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয় অনুব্রতকে। ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন তৃণমূল নেতা।
অনুব্রতকে দিল্লিতে কেন হাজির করানো হয়নি— মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল ইডি। তার দু’দিনের মধ্যেই গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে আসানসোলের জেল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে। তারপরেই শুক্রবার আসানসোলের সিবিআই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী তৃণমূল নেতার আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। শুক্রবার তৃণমূল নেতার আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। আদালত সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি সেই অনুমতি দেন। শুক্রবারই তার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৭ মার্চ পর্যন্ত কেষ্টকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।