অমৃতসর, ১১ মে – ফের বিস্ফোরণ ঘটল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের কাছে। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে তিনবার বিস্ফোরণ ঘটল স্বর্ণমন্দিরের কাছের এলাকায়। বুধবার মধ্যরাতে আচমকা কেঁপে ওঠে পাঞ্জাবের পবিত্র মন্দিরের আশপাশের এলাকা। যদিও হতাহতের খবর নেই। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। এদিকে স্বর্ণমন্দির চত্বরে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, , রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ স্বর্ণমন্দির এলাকার শ্রী গুরু রামদাস নিবাসের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। চারপাশে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে এই অনুমান করে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন স্থানীয় মানুষ ও পুণ্যার্থীরা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে আশেপাশের রেস্তোরাঁ ও বহুতলের জানালার কাচ ভেঙে যায়। স্বর্ণ মন্দিরের খুব কাছেই হেরিটেজ সরণি স্ট্রিট। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু লিফলেট এবং বোমার অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় ৫ অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে স্বর্ণমন্দিরের কাছে হেরিটেজ সরণিতে প্রথমবার বিস্ফোরণ হয়। দুদিন পর ওই এলাকাতেই আবারও বিস্ফোরণের প্রবল শব্দ পাওয়া যায়। এবার বুধবারের মধ্যরাতে বিস্ফোরণ ঘটে। ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মন্দির চত্বরে অশান্তি সৃষ্টি করাই দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য ছিল দুষ্কৃতীদের। অমৃতসর পুলিশ কমিশনার নৌনিহাল সিং বলেন, “এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক রয়েছে কি না সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
প্রসঙ্গত, খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহকে গ্রেপ্তারি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় পাঞ্জাবে। ৩৬ দিন পলাতক থাকার পর গত এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার করা হয় অমৃতপালকে। রাজ্যে অশান্তি এড়াতে তাঁকে অসমের জেলে রাখা হয়েছে। অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপ কাউরকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। এদিকে কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের লাহোর শহরে অজ্ঞাতপরিচয় দুই দুষ্কৃতীর গুলিতে নিহত হন খলিস্তানি কমান্ডো বাহিনীর প্রধান পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার ।