দিল্লি,১ সেপ্টেম্বর — ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ দাউদ ইব্রাহিমের মাথার দাম এবার দাঁড়াল ২৫ লক্ষ। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বৃহস্পতিবার পলাতক দাউদ ইব্রাহিম এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষের নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
‘বেতাজ বাদশা’কে ধরতে সেই কবে থেকেই চেষ্টা করছে ভারত। পাকিস্তানে গোপন ডেরায় দাুদ আত্মগোপন করে আছে এমন খবরও সামনে এসেছে। যদিও সেকথা এসাইকার করেছে পাকিস্তান। বরং ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নয়াদিল্লি অতীতে যতবার দাউদের প্রসঙ্গ তুলেছে, ততবারই ইসলামাবাদ জানিয়েছে এই তথ্য ভ্রান্ত। দাউদ পাকিস্তানে থাকেই না।
গত ১৮ আগস্ট এনআইএ একটি প্রেস নোটে প্রকাশ করে জানায়, দাউদ ইব্রাহিম যাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা রেজোলিউশন ১২৬৬ এর অধীনে জাতিসংঘ কর্তৃক “গ্লোবাল টেররিস্ট” হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে এবং ইউপিএ আইন, ১৯৬৭ এর চতুর্থ তফসিলের অধীনেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার খবর দিতে পারলে ২৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হল ।
প্রেস নোটে আরও বলা হয়েছে, “ইব্রাহিম এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদ, এবং অস্ত্র চোরাচালান, নারকো সন্ত্রাস, আন্ডারওয়ার্ল্ড ক্রিমিনাল সিন্ডিকেট, মানি লন্ডারিং, জাল ভারতীয় মুদ্রার নোট (এফআইসিএন), অননুমোদিত দখল এবং এর মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সন্ত্রাসী তহবিল সংগ্রহের জন্য মূল সম্পদ অর্জন এবং লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি), জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) এবং আল কায়েদা (একিউ) সহ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সক্রিয় সহযোগিতায় কাজ করছে।”
উল্লেখ্য, দাউদ ইব্রাহিম দ্বারা চালিত ডি-কোম্পানি একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক । এনআইএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দাউদ ও তাঁর সঙ্গীরা ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আল কায়েদা সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতায় কাজ করেছে।
ইতিমধ্যে, এনআইএ মোট পাঁচজন পলাতক সন্ত্রাসীর নামও দিয়েছে যাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য যে কোনও ধরণের তথ্য প্রদানকারীকে পুরুষ্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে । তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ই-মেইল অ্যাডরেস do.nia@gov। ইন এবং info.mum.nia@gov দেওয়া হয়েছে । সঙ্গে বিশেষভাবে বলা হয়েছে তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির নাম-ঠিকানা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মুম্বইতে সব মিলিয়ে ১২টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় দাউদের নেতৃত্বে। নিহত হন ২৫৭ জন, আহত হন প্রায় সাতশো সাধারণ মানুষ। এর পরই ভারত থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেয় দাউদ। তাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু, পাকিস্তানের আশ্রয়ে থাকায় তাকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।