চেন্নাই থেকে কলকাতায় আসবেন আর প্রজ্ঞানন্দ।

চেন্নাই:- চেন্নাই থেকে কলকাতায় আসবেন আর প্রজ্ঞানন্দ। আজারবাইজানের বাকুতে দাবা বিশ্বকাপে রানার-আপ হয়ে রুপো জিতেছেন চেন্নাইয়ের ১৮ বছরের এই গ্র্যান্ডমাস্টার। চেন্নাই বিমানবন্দরে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল দেখার মতো। সূত্রের খবর, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছাড়াও নানা জগতের কয়েকশো মানুষ হাজির ছিলেন প্রজ্ঞানন্দকে স্বাগত জানাতে। বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব দাবার ফাইনাল খেললেন প্রজ্ঞানন্দ। প্রজ্ঞার প্রশংসাও করেছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেন। হিকারু নাকামুরা, ফ্যাবিয়া কারুয়ানাদের হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। সোনা জিততে না পারলেও ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট খেলার যোগ্যতা অর্জনও করেছেন তিনি। চেন্নাই বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন তামিলনাড়ু সরকারের ক্রীড়া দফতরের আধিকারিকরা। তাঁকে সেখানে ফুল, শাল দিয়ে বরণ করা হয়। ফুল ছড়ানো পথ দিয়েই হেঁটে আসেন প্রজ্ঞানন্দ। করাগট্টম, ওঅলাট্টম শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। সূত্রের খবর, প্রজ্ঞা জানান, এমন অভ্যর্থনা পেয়ে খুব ভালো লাগছে তার। প্রজ্ঞাকে জাতীয় পতাকা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞার সঙ্গেই দেশে ফিরলেন তাঁর মা নাগালক্ষ্মী। এদিনই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করেন প্রজ্ঞা। ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন। প্রজ্ঞানন্দের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবনে প্রজ্ঞার হাতে তুলে দেন ৩০ লক্ষ টাকার চেক। সূত্রের খবর, প্রজ্ঞানন্দ জানায়, দাবার যে প্রসার ঘটছে আজ আরও একবার তার প্রমাণ মিলল। দাবা বিশ্বকাপে তার লক্ষ্য ছিল ক্যান্ডিডেটসে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে তার। বাকু থেকে প্রজ্ঞানন্দ চলে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখান থেকেই তিনি চেন্নাই ফিরলেন। এবার আসতে চলেছেন কলকাতায়। কলকাতায় এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দাবাড়ুদের শিবিরে যোগ দেবেন। অংশ নেবেন একটি দাবা প্রতিযোগিতায়। সূত্রের খবর, সোমবার তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে।