• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ধনখড়ের পথেই হাঁটলেন আনন্দ বোস , রাজভবনে পালিত হল  ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’

কলকাতা, ২০ জুন –  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ অগ্রাহ্য করেই রাজভবনে মহা সমারোহে পালিত হল ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী -সহ বিজেপির প্রায় সমস্ত রাজ্যস্তরের নেতারাই। নাচ-গান-বসে আঁকো-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেই আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস । শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবাসীকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবসে’র শুভেচ্ছা জানান। রাজভবনে

কলকাতা, ২০ জুন –  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ অগ্রাহ্য করেই রাজভবনে মহা সমারোহে পালিত হল ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী -সহ বিজেপির প্রায় সমস্ত রাজ্যস্তরের নেতারাই। নাচ-গান-বসে আঁকো-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেই আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস । শুধু তাই নয়, রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবাসীকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবসে’র শুভেচ্ছা জানান। রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন না করার জন্য রাজ্যপালকে সোমবারই চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যপালের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির নির্দেশেই তিনি রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ।

নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার রাজভবনে পালন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিশেষ দিনে গোটা রাজ্যে শান্তির বার্তা শোনান রাজ্য পাল সিভি আনন্দ বোস। বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে রাজ্যপাল নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ।

‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস-এ  শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বার্তা, ‘পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, খেলাধুলা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমন্বয়ে ভারতের মধ্যে এক অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। …পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান মানুষরা আমাদের জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে গেছেন। আমি পশ্চিমবঙ্গবাসীর শুভেচ্ছা ও সাফল্য কামনা করি।’

২০ জুন পূর্ব পরিকল্পনা মতোই রাজভবনে পালন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। আর এরপরই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা।  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “সমস্ত রাজ্য তৈরি হওয়ার একটা দিন আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাসকে ঘেঁটে দিতে চাইছেন। তবু এটা ঐতিহাসিক সত্য।” পাল্টা কুণাল ঘোষের মন্তব্য, “রাজ্যপাল নির্দিষ্ট একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবনা থেকে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের চেষ্টা করছেন, এটা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসকে বিকৃত করা। বাংলার ঐতিহ্যকে নষ্ট করা। আমরা এই অপচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করছি।”

মঙ্গলবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই পালিত হয়েছে দিনটি।তবে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন কোনও নতুন ঘটনা নয়, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় রাজ্যের রাজ্যপাল থাকাকালীন রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছেন। সে ক্ষেত্রে নবান্ন আপত্তি জানালেও, সেই আপত্তি কানে তোলেননি ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে ধনখড়ের পথেই হাঁটলেন  রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।