পাণিনির ধাঁধার সমাধান করে বিশ্বে হইচই ফেললেন ভারতীয় ছাত্র 

লন্ডন ১৬ ডিসেম্বর — পৃথিবীর সর্বকালের অত্যাশ্চর্য ব্যাকরণের রচয়িতা পাণিনির ব্যাকরণের এক জটিল ও দুর্বোধ্য সূত্রের সমাধান বের গোটা বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিলেন এক ভারতীয় ছাত্র। বিশ্বজুড়েই পণ্ডিতরা বলছেন ওই ছাত্র ইতিহাস তৈরি করেছেন।। কারণ পাণিনির রচিত ‘অষ্টাধ্যায়ী’ অতিপ্রাচীন এবং দুর্বোধ্য। সংস্কৃত ব্যাকরণের ছত্রে ছত্রে এমন সব জটিল সূত্র ও ধাঁধা আছে যাদের অর্থ বের করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। সে বই আজও বিশ্বের পণ্ডিতদের কাছে বিস্ময়। পাণিনির 

কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে সংস্কৃত নিয়ে গবেষণা করছেন ঋষি রাজপোপাট । পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’  ব্যাকরণের একটি সূত্র নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। সেই সূত্রের সমাধান বের করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন অন্যান্য গবেষকরা। সেখানেই অসাধ্য সাধন করেছেন ঋষি। ২৭ বছরের কেমব্রিজ স্কলার বলছেন, গত ৯ মাস ধরে ওই সূত্র নিয়ে পড়েছিলেন তিনি। সমাধানের সামান্যতম আশাও দেখছিলেন না। এতটাই দুর্বোধ্য ও জটিল যে সমাধানের কোনও পথই পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে বইপত্র বন্ধ করে মেডিটেশন করতে শুরু করেন। সাঁতার কাটা, খেলাধূলা, মেডিটেশনের মধ্যে দিয়ে তাঁর দিন কাটছিল। একদিন আচমকাই নতুন পথের খোঁজ পান তিনি।

খ্রিস্টজন্মের মোটামুটি চারশো বছর আগে পাণিনির জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তবে এই মত নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বেদের যুগের শেষ স্তরে পাণিনির আবির্ভাব। বৈদিক সাহিত্য হল আর্যসংস্কৃতির ভিত্তিস্তম্ভ।