দিল্লি, ২৭ মার্চ – তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের তৃতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারীকে বেছে নিলেন দলাই লামা। আট বছর বয়সী কিশোর মঙ্গোলীয় বংশের। তবে সে মার্কিন নিবাসী। ওই কিশোরের নাম জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, সে এক প্রাক্তন মঙ্গোলীয় সাংসদের নাতি, যাঁর এক যমজ ভাই রয়েছে। তাঁর বাবা এক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে এই পদাধিকারীকে বলা হয় ‘খালখা জেটসুন ধাম্পা রিনপোচে’। আট বছরের এক মঙ্গোলীয় কিশোরকে, দশম ‘খালখা জেটসুন ধাম্পা রিনপোচে’ হিসেবে বেছে নিলেন দলাই লামা। মঙ্গোলীয় বংশের হলেও, ওই কিশোরের জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৮ মার্চ ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় এক অনুষ্ঠানে ওই মার্কিন কিশোরকে দশম ‘খালখা জেটসুন ধাম্পা রিনপোচে’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই মঙ্গোলীয় কিশোরের সঙ্গে ছবিও তোলেন তিনি ।
দলাই লামার এই পদক্ষেপ বেজিং কিভাবে নেবে সেটাই এখন দেখার । তাদের নিজেদের নির্বাচিত ব্যক্তি ছাড়া আর কাউকে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মগুরু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ চিন। তাই খালখা জেটসুন ধাম্পা রিনপোচে হিসেবে আট বছরের কিশোরটির নাম ঘোষণা নিয়ে তিব্বতি বৌদ্ধ সমাজে খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়লেও , আট বছরের ওই কিশোরের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশংকার মেঘ দেখা দিয়েছে । কারণ বরাবরই দলাই লামার চরম বিরোধিতা করে এসেছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। দলাই লামাকে আমেরিকার চর বলেও দাবি করে তারা। প্রসঙ্গত ১৯৯৫ এ দলাই লামা একাদশতম পাঞ্চেম লামার নামকরণ করেছিলেন। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক নেতা পাঞ্চেম লামা। সেই নামকরণ মেনে নেয়নি চিনা কর্তৃপক্ষ। একাদশতম পঞ্চেম লামা হিসেবে যে কিশোরকে বেছে নেওয়া হয়, সপরিবারে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর থেকে আর তাঁর কথা শোনা বা তাঁকে দেখা যায়নি। পরে পাঞ্চেম লামা হিুসেবে তাদের নিজস্ব প্রার্থীকে বেছে নিয়েছিল চিন সরকার।