আদানি ইস্যুতে নীরবতা ভঙ্গ করলেন অমিত শাহ 

দিল্লি , ১৪ ফেব্রুয়ারি — আদানি বিতর্কে বিরোধীদের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ‘‘বিজেপির কিছু গোপন করার নেই, ভয় পাওয়ারও কিছু নেই’’, মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে কেন্দ্রকে চাপে রেখেছে বিরোধীরা। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বলে এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। তাই মন্ত্রী হিসেবে এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত নয়। কিন্তু বিজেপির এই নিয়ে কিছু গোপন করার বা ভয় পাওয়ার মতো কিছু কিছু নেই।’

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা এবং কারচুপি করে নিজেদের শেয়ারের দর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকার লগ্নি গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তা  নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ। শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সুসম্পর্ক’কে হাতিয়ার করে ময়দানে নামে বিরোধীরা। আদানির সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল গান্ধী। আদানিকাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে সংসদের দুই কক্ষে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তবে আদানি প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। বরং ঘুরিয়ে  বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিয়ে মোদি বলেন, ‘‘বিরোধীদের হাতে কাদা রয়েছে বলেই ছুড়ছেন। যত কাদা ছুড়বেন, ততই পদ্ম ফুটবে।’’ 

প্রসঙ্গত, বিরোধীদের দাবি, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই আদানির উত্থানের শুরু । মোদির জন্যই ব্যবসায় সাফল্য পান গৌতম আদানি, এমন অভিযোগ ওঠে।আদানি নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েও হয়েও নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের প্রত্যুত্তরে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করলেও আদানি নিয়ে একেবারেই নিশ্চুপ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী । কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, বন্ধু আদানিকে আড়াল করতে মৌনব্রত গ্রহণ করেছেন মোদি। শেষ পর্যন্ত আদানি ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। আদালতে আদানি ইস্যুতে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকার ও সেবিকে। শেয়ার বাজারে ধস নামার কারণ কী, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে – প্রশ্ন করে সর্বোচ্চ আদালত । তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।