• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মানবিকতার খাতিরেই মণিপুর অশান্তি থামাতে উদ্বিগ্ন আমেরিকা : গ্যারসেটি

দিল্লি, ৭ জুলাই– দু’মাস হলেও থামার নাম নেই মণিপুরের আগুন। জাতিদাঙ্গার সেই আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন সেরাজ্যের শতাধিক মানুষ। যদিও মনিপুরের এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কিছু না বললেও সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি মনিপুর সফরও সেরে এসেছেন। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি।  তবে এবার মনিপুর প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেল মার্কিন প্রশাসনকে।

দিল্লি, ৭ জুলাই– দু’মাস হলেও থামার নাম নেই মণিপুরের আগুন। জাতিদাঙ্গার সেই আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন সেরাজ্যের শতাধিক মানুষ। যদিও মনিপুরের এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কিছু না বললেও সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি মনিপুর সফরও সেরে এসেছেন। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। 

তবে এবার মনিপুর প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেল মার্কিন প্রশাসনকে। মণিপুর প্রসঙ্গে ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চেয়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গ্যারসেটি বলেন, মানবতার কথা ভেবেই মণিপুর নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। সেরাজ্যে যেভাবে হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের জন্য ভারতীয় হতে হয় না। এই ক্ষেত্রে ভারতকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা। কারণ আমেরিকার কাছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “এটা ভারতের নিজস্ব বিষয়, তাই মণিপুরে শান্তি ফিরুক আমরা সেটাই প্রার্থনা করি। ভারতের উত্তর-পূর্বে অনেক কিছুই হতে পারে, কিন্তু তার জন্য শান্তি ফিরে আসা খুবই দরকার।” 

বৃহস্পতিবার কলকাতা সফরে এসেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হওয়ার পরে এটা তার প্রথম বঙ্গ সফর। কলকাতা সফরে এসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও মুখ্যমন্ত্রীর মূল উপদেষ্টা অমিত মিত্রের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বৈঠকের শুরুতেই গ্যারসেটি সাফ জানিয়ে দেন, সবার আগে মণিপুর নিয়েই কথা বলতে চান তিনি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা চাই মণিপুরে শান্তি ফিরে আসুক। হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে, মণিপুরের অশান্তি নিয়ে আমেরিকা কেন মাথা ঘামাচ্ছে। এটা কোনও কৌশলগত পদক্ষেপ নয়, মানবতার খাতিরেই আমেরিকা এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন। যেভাবে সেরাজ্যে শিশু-সহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের জন্য ভারতীয় হওয়ার প্রয়োজন নেই।”