বোলপুর, ২৪ নভেম্বর– অনুব্রত মণ্ডলের ১ কোটি টাকা লটারির উৎস সন্ধানে সিবিআই যা জানতে পারলো তা রীতিমত ছলকে দেওয়ার মত। ওই ১ কোটির আসল বিজেতা নূর আলির বাড়ি খুঁজতে বৃহস্পতিবার ফের বোলপুরের কাছে নানুরে পৌঁছেছে সিবিআইয়ের টিম। নূর আলির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআই অফিসাররা হতবাক। শুধু সিবিআই নয় তারপর সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক দাবি করেছেন নূর আলির বাবা কটাই শেখ।
এদিন তিনি দাবি করেছেন, ১ কোটি টাকা লটারিতে জেতার পর তৃণমূলের লোকজন তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করে। এমন হুমকি যে সাত আট তিনি বাড়িতে খেতে পর্যন্ত পারেননি। পালিয়ে পালিয়ে ছিলেন। তার পর নামমাত্র টাকায় ওই লটারির টিকিট দিয়ে দিতে তিনি বাধ্য হন বলে কটাই শেখের দাবি।
সংবাদমাধ্যমের কাছে কটাই শেখ একবার দাবি করেছেন যে ৫-৬ লক্ষ টাকা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। পরে আবার বলেন, না এ নিয়ে কিছু বলব না। তবে কটাই এটা জানিয়েছেন যে, জনৈক গাঙ্গুলি নামে এক লোক তাঁকে লটারির টিকিটটি দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছিল।
কটাই শেখ ও তাঁর ছেলের বাড়ি নানুর থানার বড় শিমুলিয়া গ্রামে। এদিন প্রথমে নূরের বাড়ি যায় সিবিআই টিম। পরে তাঁকে রতনকুঠির ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখন নূরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
কটাই শেখের দাবি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে বিজেপি ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। জেলা বিজেপি মুখপাত্র এদিন বলেন, অনুব্রত যে হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লোকের থেকে টাকা পয়সা, গাড়ি, জমি, চালকল কেড়ে নিতেন তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। কদিন আগে টিভিতেই দেখা গিয়েছে যে এক ঠিকাদার খোলাখুলি বলছেন অনুব্রত তাঁকে ভয় দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অনুব্রত এভাবেই চালকল কিনেছেন একের পর এক। এবার দেখা যাচ্ছে, গরিব মানুষের লটারির টাকাও মেরে দিয়েছেন।
বিসিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে পাঁচবার লটারিতে জিতেছিলেন। এর মধ্যে একবার ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। বাকি কখনও ৫০ লক্ষ টাকা বা কখনও ত্রিশ লক্ষ টাকা ইত্যাদি জিতেছিলেন। এবার প্রতিটি লটারিরই উৎস সন্ধান করে দেখা হবে।