দিল্লি, ১৪ এপ্রিল– করোনা আতংক বোধহয় আমরা এখনো ভুলিনি। সেই ভীতি ফের যেন ফিরে আসছে করোনার নতুন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে।স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১০৯ জন নতুন সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি! শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪৯ হাজার ৬২২!
গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে মোট ২০ জনের। ফলে দেশের মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৪। সুস্থতার হারও সামান্য হলেও নিম্নমুখী। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৭০ শতাংশ। কিছুদিন আগেই এই হার ৯৯ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির পরিসংখ্যান বেশ উদ্বেগজনক। দুই রাজ্যেই দৈনিক আক্রান্ত হাজারের বেশি। উত্তরপ্রদেশেও বাড়া শুরু করেছে সংক্রমণ।
এই পরিস্থিতিতে নতুন কোভিড গাইডলাইন প্রকাশ করল হরিয়ানা। সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ জারি করেছে, সমস্ত স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হসপিটাল, অফিস-সহ সমস্ত পাবলিক প্লেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। সমস্ত জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে থার্মাল টেম্পারেচার স্ক্যানার বসাতেই হবে।
বাচ্চা এবং বয়স্কদের ভিড়ে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। কিডনি, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও অধিক সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা এসব শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে হবে, যেখানে সেখানে থুতু ফেলা চলবে না। বিয়ে বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান বিধি মেনেই করতে হবে।
পাশাপাশি, কোনওরকম সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেই সরকারি কর্মীদের অফিস না এসে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কোভিড টেস্ট করানোর কথাও। হরিয়ানার স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। সে রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য অফিসার সুনীল কুমার শর্মা বলেন, ‘কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেওয়ার জন্য আমাদের দফতর প্রস্তুত। দেশে কোভিড যেভাবে আবার বাড়ছে, তাতে সংক্রমণ এড়ানোর দিকটি আবার খেয়াল রাখতে হবে। কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা খুব জরুরি।’