• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বিজেপির বিরুদ্ধে ‘পিছড়া বর্গ’ ফর্মুলা অখিলেশের  

লখনউ, ১৭ জুন– বহু আগে বিজেপিকে হারাতে বিরোধী জোটের এক আলাদা ফর্মুলা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দেশজুড়ে সেই ফর্মুলা এখনও কার্যকর করে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। চেষ্টা চলছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তা প্রয়োগ করার । কিন্তু এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনেই বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে এনডিএ বনাম পিডিএ র নয়া ফর্মুলা দিলেন। অখিলেশ বলেছেন,

লখনউ, ১৭ জুন– বহু আগে বিজেপিকে হারাতে বিরোধী জোটের এক আলাদা ফর্মুলা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দেশজুড়ে সেই ফর্মুলা এখনও কার্যকর করে উঠতে পারেনি বিরোধীরা। চেষ্টা চলছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তা প্রয়োগ করার । কিন্তু এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনেই বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে এনডিএ বনাম পিডিএ র নয়া ফর্মুলা দিলেন।

অখিলেশ বলেছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএকে হারাবে পিডিএ। অখিলেশের পিডিএ বলতে  পিছড়ে বর্গ, দলিত এবং অল্পসংখ্যকদের জোটকে বুঝিয়েছেন।  তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরা কেউই বিজেপির কোর ভোটব্যাংকের অংশ নয়। অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে ওবিসি, দলিত এবং সংখ্যালঘুদের জোট গড়তে চান সপা সুপ্রিমো। উত্তরপ্রদেশের ৭৫ শতাংশের বেশি জনসংখ্যা এই ওবিসি, দলিত এবং সংখ্যালঘু। ২৪-এর আগে অখিলেশ এই বিরাট জনগোষ্ঠীকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করবেন।

তবে অখিলেশের এই পিডিএ ভাবনার প্রধান অন্তরায় তাদের শিবিরেরই দুই দল। এক, মায়াবতীর বিএসপি। কারণ বিএসপি জন্মলগ্ন থেকেই দলিত এবং সংখ্যালঘুদের রাজনীতি করে। আর দুই কংগ্রেস। কংগ্রেসের যে সামান্য ভোটব্যাংক উত্তরপ্রদেশে এখনও অবশিষ্ট, সেটাও ওই দলিত এবং মুসলিমই। সপা সুপ্রিমো সেটা অনুধাবন করেই সম্ভবত কংগ্রেসের উদ্দেশে কৌশলী বার্তা দিয়ে রেখেছেন। অখিলেশ বলছেন,”উত্তরপ্রদেশে এখন একটাই স্লোগান, ৮০ আসনে হারাও, বিজেপিকে ভাগাও। বড় জাতীয় দলগুলি যদি আমাদের সাহায্য করে, তাহলে আমরা বিজেপিকে সব আসনে হারাতে পারি।”

অর্থাৎ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা যে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি, সেটা বুঝিয়ে দিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো। অখিলেশ বলছেন, বিরোধী জোটের একটাই ফর্মুলা হওয়া উচিত, যে যেখানে বেশি শক্তিশালী, সে সেখানে বেশি গুরুত্ব পাবে। সেই হিসাবে লড়াই হলে আসনরফা যে খুব একটা সমস্যার হবে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অখিলেশ। তাঁর কথায়, সমাজবাদী পার্টি যেখানেই জোট করুক, আসন সংখ্যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না।