সুনীতা দাস
বলা হয় অর্থই অনর্থের মূল। কিন্তু এই অর্থ ছাড়া যে আজ আর চলে না। এটি থাকলে যেমন সুখ দেয় আবার নিজের সঙ্গে নানান অশান্তি-যন্ত্রনায় নিয়ে আসে। না থাকলেও অবশ্য অশান্তির শেষ নেই। যাই হোক তবুও এর পেছনে দৌড়োচ্ছে গোটা দুনিয়া। যদিও লক্ষি নাকি ভীষণ চঞ্চলা স্বভাবের। কার কাছে আসবেন বা কতদিন থাকবেন তা বলা ভীষণ কঠিন। সবাই তো আর এলেন মাস্ক, বার্নার্ড অর্নাল্ট, জোফ বেজোস বা মুকেশ আম্বানি নন। বর্তমানে ভারত সহ এশিয়ার শীর্ষ ধনীর স্থান জুড়ে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। সম্পত্তির পরিনাম ৯,৫৯০ কোটি ইউএসডি, ভারতীয় টাকায় ৭.৮ লক্ষ কোটি। ভাবছেন কোটা শূন্য আছে সম্পত্তির পেছনে। গুনতে যাবেন না ভিমরি খাবেন। কিন্তু জানেন কি এমন সম্পত্তির অধিকারীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যার সম্পত্তির কাছে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি কোন কালেই ধোপে টিকতে পারবে না। যদি বলি এশিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থের মালিক মুকেশ অম্বানিও আসলে তার কাছে কিছুই না। ভাবছেন আমার বুঝি মাথা খারাপ হল। একদম নয়, আমি সত্যি বলছি। তিনি অবশ্য আজ আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু না থেকেও সম্পত্তির হিসেবে তিনি থেকে গিয়েছেন। তার নাম শুনতে চান কি ? তিনি মুঘল বাদশাহ আকবর বিশ্বের সর্বকালের তৃতীয় ধনী মুঘল বাদশাহ আকবর।
মানি’ ম্যাগাজিনের তালিকায় তিন নম্বরে স্থান দেওয়া হয়েছিল আকবরকে। অতীতের কোন রাজা কত সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন তা নির্ণয় করা কঠিন কাজ। তাই সেই তালিকা নিয়ে বিতর্ক যে হবে তা স্বাভাবিক।
মানি ম্যাগাজিন অবশ্য ইতিহাসবিদ, কয়েক শো অর্থনীতি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে অতীতে অর্থনৈতিক চালচিত্র, ব্যক্তিগত সম্পত্তি, মুদ্রাস্ফীতি, জিডিপি কেমন ছিল সব জেনেই সর্বকালের সেরার তালিকা বানিয়েছে বলে দাবি করেছে। আর তা বিশ্লেষণ করেই উঠে এসেছে আকবরের সম্পত্তির কথা।
তৃতীয় মুগল বাদশাহ সে সময় বিশ্বের ২৫ শতাংশ জিডিপি’র মালিক ছিলেন। জনগণের থেকে কর সংগ্রহে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন আকবর। তার সময়ে দেশের জিডিপির তুলনা করা যেতে পারে এলিজাবেথের শাসনাধীন ইংল্যান্ডের সাথে।
তবে সর্বকালের ধনীর তকমা পেয়েছেন টিম্বাকটুর রাজা মানসা মুসা। আধুনিক মালি টিম্বাকটুর নামে পরিচিত ছিল। সে সময় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদন করত টিম্বাকটুর ।
রোম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ৪৬ লাখ কোটি ডলারের মালিক অগাস্টাস সিজার রয়েছেন সর্রকালের দ্বিতীয় ধনীর তালিকায়। আকবর এবং মুসা ছাড়াও ধনীর তালিকায় রয়েছেন চীনের সম্রাট শেনজং, মঙ্গোলিয়ার রাজা চেঞ্জিস খান।