দিল্লি, ১৯ নভেম্বর – বাতাসের দূষণের ‘গুণগত মান’ কিছুটা উন্নত হওয়ায় সমস্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল দিল্লিতে। গত কয়েকদিন খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই। শুক্রবারও দিল্লির একিউআই ছিল মারাত্মক। কিন্তু শনি এবং রবি পরপর ২ দিন আগের থেকে সামান্য উন্নতি হওয়ায় আপাতত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল দিল্লি সরকার। সোমবার, ২০ নভেম্বর থেকে খোলা হবে সমস্ত স্কুল। এ ব্যাপারে শনিবারই নির্দেশিকা জারি করে দিল্লির শিক্ষা দফতর।
দূষণের কারণে স্কুল পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সমস্ত স্কুলও বন্ধ রাখা হয়। বায়ুদূষণ মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ধাপে ধাপে স্কুল বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছিল। এখন পরিস্থিতি একটু ভাল হওয়ায় স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোর-কাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ -এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৬টায় দিল্লির একিউআই ছিল ৩১৩। শনিবার এই সময় একিউআই ছিল ৩৯৮।
দূষণ কিছুটা কমায় দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে এই সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শনিবারই তুলে নিয়েছে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট । গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বাতাসের গুণগত মানের অবনতি না হওয়ায় তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে সিএকিউএম। দূষণ পরিস্থিতির জন্য সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার দিল্লি সরকারের তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ২০ নভেম্বর থেকে সমস্ত স্কুল আবার খুলবে। তবে স্কুলের আউটডোর স্পোর্টস এবং সকালের প্রার্থনা আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড -এর তথ্য অনুযায়ী, দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম, নয়ডা , এবং ফরিদাবাদের বাতাসের ম্যান গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা উন্নত হয়েছে। তাই ৯ দিন পর ফের স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। গত ৯ নভেম্বর থেকে সমস্ত প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে দিল্লি সরকার। তবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরো এক সপ্তাহ বহাল থাকছে। রবিবার আরকেপুরমে একিউআই ছিল ৩২৫, মোতিবাগে ৩২৩, আনন্দবিহারে ৩২৯ এবং নেহরুনগরে ৩৩৭।
বায়ুর মান উন্নত হওয়ায় এবার ভারী ও মাঝারি মানের পণ্য বোঝাই গাড়ি রাজধানীতে প্রবেশ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, দীপাবলির আগেই দিল্লির বায়ু দূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে পরিস্থিতি সামাল দিতে জোড়-বিজোড় ফর্মুলায় গাড়ি চালানো, ভারী গাড়ির প্রবেশ নিষেধ, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেজরীবাল সরকার। এমনকি দূষণ কাটাতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোরও চিন্তাভাবনা শুরু হয়। তবে তার আগেই বাতাসের মান উন্নত হওয়ায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দিল্লি।