দিল্লি,১৫ নভেম্বর– করোনাকালে এমন কোনো দেশ বা সংস্থা নেই যে ক্ষতির শিকার হয়নি। বহুদিন বন্ধ থেকেছে বিভিন্ন সংস্থা। বিশেষ করে যানবাহন প্রায় বসেই গেছিল। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি এয়ার ইন্ডিয়াও। কিন্তু করোনাকালে উড়ান বন্ধ রাখায় যে এখন তাকে হাজার-হাজার কোটির জরিমানার মুখে পড়তে হবে তা কে জানতো ? আমেরিকার বিমান পরিবহণ বিভাগের এক সিদ্ধান্তের জেরে তুমুল আর্থিক বোঝার মুখে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়া। মার্কিন প্রশাসন তাদের কাছে প্রায় হাজার কোটি টাকা দাবি করেছে । এই অর্থ দাবি করা হয়েছে ক্ষতিপূরণ বাবদ।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকার বিভিন্ন শহরের এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানগুলি চলাচল করে করোনার সময় সেগুলি বন্ধ অথবা রুট বদল করা হয়। এরফলে বহু যাত্রীর ক্ষতি হয়।
যদিও করোনা বিধি মানতে মার্কিন প্রশাসনের নির্দেশেই বিমান বাতিল বা রুট বদল করে এয়ার ইন্ডিয়া। কিন্তু আমেরিকার বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত আইনে বলা আছে, কোনও সংস্থা বিমান বাতিল করলে যাত্রীদের টিকিটের দাম ফেরৎ দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট আইনে বলা হয়েছে, একশো দিনের মধ্যে ফেরাতে হবে ভাড়ার টাকা। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভাড়ার টাকা মার্কিন যাত্রীদের ফেরায়নি। তাই ভাড়া এবং জরিমানা মিলিয়ে প্রায় হাজার কোটি টাকা মেটাতে হবে এয়ার ইন্ডিয়াকে।
ইতিমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ওই বিমান সংস্থার হাতবদল হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া কিনে নিয়েছে টাটা গ্রুপ। বিমান বাতিলের ঘটনা হাত বদলের আগে হয়েছে। ফলে ওই টাকা এখন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে মেটাতে হবে।