দিল্লি, ২০ মার্চ – তুরস্কের ভূমিকম্পের ভয়াবহ স্মৃতি এখনো টাটকা। তারই মধ্যে আবার ইকুয়েডরে ভূমিকম্প, যার বলি ১৪ জন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সসূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রায় চারশো জন এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে টুইট করে জানানো হয়, শনিবার ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ ইকুয়েডরে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। ইকুয়েডরের পাশাপাশি কেঁপে ওঠে পেরুর উত্তরাংশও। পেরুতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে যাচ্ছে।
ইকুয়েডরের সময় অনুযায়ী সকালে আচমকা ভূমিকম্পের ধাক্কায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে চিকিৎসা কেন্দ্রেও বিভিন্দ্য জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, ইকুয়েডরের ভূমিকম্পে ৪৪টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আরও ৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আহতদের উদ্ধারের কাজ চলছে। এই ঘটনায় টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলেরমো লাসো। তিনি জানিয়েছেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাসম্ভব সাহায্য করবে সরকার।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ইকুয়েডরের বালাও শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে, মাটি থেকে ৬৬.৪ কিলোমিটার গভীরে। উপকূলবর্তী এলাকাতেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। তবে ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষের আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।