কলকাতা , ১০ অগাস্ট – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে যখন তোলপাড় শহর, তখনই নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর সামনে এল। বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকায় এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এই ঘটনা আত্মহত্যা, নাকি এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনাটি বুধবার গভীর রাতে , যদিও তা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্রীকে রাতে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করলেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙা হয়। আর তখনই উদ্ধার হয় নাবালিকা ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর নাম পালবনি মণ্ডল। বয়স ১৪।
ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবার সূত্রে খবর, নবম শ্রেণির এই ছাত্রী বেশিরভাগ সময় তার দিদার কাছেই থাকত। সেখানেই পড়াশোনা করতো। দিদার বাড়ি পর্ণশী থানা এলাকায়। আর ছাত্রীর মা থাকত কালচার মাঠের কাছে ভাড়া বাড়িতে। সেখানেও যাতায়াত করত ছাত্রী। কর্মসূত্রে বাবা অন্য রাজ্যে থাকেন। বুধবার রাতে মেয়েটি দিদার কাছেই ছিল। রাত ১২টা নাগাদ তাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু সাড়া পাননি দিদা। তখন তাঁর সন্দেহ হলে পড়শিদের ডাকেন। তারপর পড়শিরা এসে দরজা ভেঙে ফেলে। দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, সিলিংয়ে একটি রড থেকে ঝুলছে ওই নবম শ্রেণির ছাত্রী। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরলেও স্কুলে যেত না ছাত্রীটি। স্কুলে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াত। এই ঘটনাটি জানাজানিও হয়ে যায়। মা জানতে পেরে তাকে বকাও দেন। সেই অভিমানে ছাত্রী আত্মহত্যা করতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।