খুচরোর পর পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারও নিন্মমুখী 

দিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর– মধ্যবিত্তের জন্য একে সুখবরই বলা যায়। গত ২১ মাসে সবচেয়ে কম। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বনিন্ম নামল নভেম্বরে। গত ১১ মাসের তুলনায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। ৫.৮৮ শতাংশে নেমেছে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার। কমল পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারও। জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, নভেম্বরে পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার হয়েছে ৫.৮৫ শতাংশ। যা  খাদ্যপণ্য, জ্বালানি ও উৎপাদন ক্ষেত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৯ মাস পর গত অক্টোবরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার কমে হয় ৮.৩৯ শতাংশ। ২০২১ সালের নভেম্বরে যা ১৪.৮৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। কেন্দ্রের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, “খাদ্য সামগ্রী, মৌলিক ধাতু, টেক্সটাইল, রাসায়নিক এবং রাসায়নিক পণ্য এবং কাগজ ও কাগজজাত পণ্যের দাম কমাই ২০২২ সালের নভেম্বরে মূল্যবৃদ্ধির হার হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ।” উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যবৃদ্ধির হার কমে হয়েছিল ৪.৮৩ শতাংশ। সাম্প্রতিক অতীতে যা সর্বনিম্ন। 

উল্লেখ্য, গত মে, জুন ও জুলাই মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিম্নগামী ছিল। অগস্ট মাসে তা রিজার্ভ ব্যাংকের  বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) উপরে ওঠায় আবার সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। গত জুলাইয়ের ৬.৬৯ ‌শতাংশ থেকে অগস্টে তা বেড়ে ৭.৬২ শতাংশ হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আরও বেড়ে হয়েছিল ৭.৪১ শতাংশ। অর্থাৎ বেশ কয়েক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) মধ্যে থাকল খুচরো পণ্যের মূল্যবদ্ধ।


যদিও গত কয়েক মাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে আরবিআইয়ের রেপো রেটে। বুধবার ৩৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, এর ফলে রেপো রেট বৃদ্ধির হার ৬.২৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াল। এর ফলে গাড়ি বা গৃহঋণের ইএমআই আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে অন্যান্য ঋণের ইএমআইও।