লখনউ , ২৯ এপ্রিল – সাংসদ পদ হারাতে চলেছেন বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ আফজল আনসারি। খুনের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডের জেরে সাংসদ পদ হারাতে চলেছেন বিরোধী শিবিরের এই নেতা। জনপ্রতিনিধি আইনের যাঁতাকলে পড়লেন মায়াবতীর পার্টির সাংসদ আনসারি।
আফজল আনসারি ২০১৯ সালে বিএসপির টিকিটে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর দাদা মুখতার আনসারি উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার। আফজলের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে এক বিজেপি নেতাকে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় । ২০০৫ সালে গাজিপুরের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত একটি অপহরণের ষড়যন্ত্রের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় আফজল। আফজলকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয় উত্তরপ্রদেশের এমপি-এমএলএ আদালত। এই শাস্তির জেরেই সাংসদ পদ হারাতে চলেছেন আফজল।
আফজলের সঙ্গে তাঁর দাদা, প্রাক্তন বিধায়ক মুখতার আনসারিকে ওই অপহরণ ও খুনের মামলায় ১০ বছরের জেলের সাজা দিল গাজিপুরের আদালত। ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর মহম্মদাবাদের কোতোয়ালি থানায় আনসারি ভাইদের বিরুদ্ধে ‘গ্যাংস্টার আইনে’ ওই মামলা রুজু হয় । একাধিক অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত মুখতারের ৫ লক্ষ এবং আফজলের ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় । ২০০৭-এর ‘গ্যাংস্টার আইন’ অনুযায়ী তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক দুর্গেশ। আফজলকে শনিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছিল।
ভারতের জনপ্রতিনিধি আইনের সেকশন ৮ (৩) অনুযায়ী, কোনও সাংসদ যদি কোনও অপরাধে দু’বছর বা তাঁর বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি পরবর্তী ৮ বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না। অর্থাৎ উচ্চতর কোনও আদালতে এই রায় বাতিল না হলে ২০২৪ সালের লোকসভার লড়াই থেকেও আফজল ছিটকে যেতে পারেন। আর সেটা বিএসপির আরও বড় ধাক্কা হতে পারে।
তবে আফজলের কাছে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। তিনি উচ্চতর কোনও আদালতে আবেদন করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল গুজরাটের সুরাট আদালত। তার পরেই কংগ্রেস নেতা রাহুলের সংসদ পদ খারিজ হয়।