মুম্বাই, ২৩ আগস্ট — একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। প্রথমে রাজনৈতিক ক্ষমতা, এবার শিবসেনার অভিকাত্ত্ব হারানোর ধাক্কাও বোধয় খেতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। সুপ্রিম কোর্টে করা এক মামলায় রায় দিয়েছে, শিবসেনার অভিভাবক কে, উদ্ধব ঠাকরে, নাকি একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠী, এই বিবাদের ফয়সালা করবে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিবসেনা ৫৪জন বিধায়কের ৪০জনকে সঙ্গী করে একনাথ শিন্ডে হত ৩০ জুন বিজেপির সমর্থনে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছেন। তারপরই উদ্ধব ঠাকরে এবং শিন্ডে গোষ্ঠী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দলের অভিভাবকত্ব দাবি করে।
সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্ত উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতে তাদের দুই আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং কপিল সিব্বল গোড়া থেকেই মামলা সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে না পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করেন। যদিও প্রধান বিচারপতি শুনানির শুরুতেই আভাস দিয়েছিলেন, এই বিবাদ সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে। উদ্ধব গোষ্ঠীর আপত্তির কারণ, মামলা যত বিলম্বিত হবে ততই সরকারি ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে দলের রাশ নিজের হাতে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে।
বস্তুত, সময় কিনতে শিন্ডে গোষ্ঠী এটাই চাইছিল। তাঁদের বাসনা ছিল, মামলা যত দীর্ঘায়িত হয় ততই মঙ্গল। কারণ, এই মামলার নিষ্পত্তির পর বিধানসভার স্পিকার এবং নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিবসেনার অভিভাবকত্ব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বিধানসভা এবং কমিশন।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি রমান্না, বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহালীর বেঞ্চ সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলাটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত করলেও কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। যদিও পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আগামী পরশু, বৃহস্পতিবার প্রথম শুনানি শুরু করবে।