ওড়িশা, ৪ অক্টোবর– বিহারের পর জাতিগত গণনার ফলাফল প্রকাশে নাম লেখাতে চায় ওড়িশা। ওড়িশা সরকারের সেই ইচ্ছে ফলপ্রসূ করতে ইতিমধ্যেই ওড়িশাতেও এই গণনা করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর । খুব শীঘ্রই সেই ফল প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে নবীন পট্টনায়েক সরকার। এমনটাই দাবি, বিজু জনতা দলের এক বিধায়কের। এরই মাঝে আবার কর্নাটকের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এম বীরাপ্পা মৈলি দাবি করেছেন, ২০১৩-১৮ সালে দক্ষিণী রাজ্যে তৎকালীন সিদ্দারামাইয়া সরকারের আমলে যে গণনা হয়েছিল তার ফলাফল প্রকাশ করা হোক।
এই মাসের শুরুতেই প্রকাশিত হয়েছিল বিহারের জাতিগত গণনার ফলাফল। তাতে দেখা গিয়েছে বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। আগস্ট মাসেই শেষ হয়েছিল জাতিগত জনগণনার কাজ। যদিও এই জনগণনা নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিল বিজেপি-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ফলাফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তোপ দেগেছিলেন নীতীশ কুমার প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ৬০ বছর ধরে এইভাবেই মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এবার ওড়িশার জাতিগত জনগণনার কথাও প্রকাশ্যে এল।
উল্লেখ্য, আসন্ন জনগণনায় তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া আর কোনও জাতপাতের উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু বিহারের পর একই পথে হাঁটতে চাইছে ওড়িশাও। ওড়িশায় এই ফল প্রকাশ হলে তা যে মোদি সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।